গত বছরের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান নিয়ে ফের মুখ খুলেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান একান্তই তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত এবং যেসব ‘পরিস্থিতি’ তাকে ভারতে নিয়ে এসেছে, সেগুলোই এখন তার সিদ্ধান্তকে আরও প্রভাবিত করছে।
আজ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির প্রধান সম্পাদক রাহুল কানওয়ালের সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে জয়শঙ্কর এসব কথা বলেন। তিনি জয়শঙ্করকে জিজ্ঞাসা করেন, শেখ হাসিনাকে যতদিন চান ততদিন ভারতে স্বাগত জানানো হবে কিনা, তার জবাবে জয়শঙ্কর উপরের কথাগুলো বলেন।
জয়শঙ্কর বলেন, এটি ভিন্ন বিষয়, তাই না? তিনি একটি নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে এখানে এসেছেন, এবং আমি মনে করি সেই পরিস্থিতিটি স্পষ্টতই একটি কারণ হিসেবে কাজ করছে যে তার ক্ষেত্রে কী হবে। তবে আবারও বলছি, এটি এমন একটি বিষয় যেখানে তাকে নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক প্রসঙ্গে
নয়াদিল্লি এবং ঢাকার মধ্যেকার সম্পর্কের দিকে মনোযোগ দিয়ে জয়শঙ্কর প্রতিবেশী দেশটিতে একটি বিশ্বাসযোগ্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর ভারতের অবস্থানের ওপর জোর দেন।
বাংলাদেশের অতীতের রাজনৈতিক সমস্যার কথা উল্লেখ করে জয়শঙ্কর বলেন, আমরা শুনেছি বাংলাদেশের মানুষ, বিশেষ করে যারা এখন ক্ষমতায় আছেন, তাদের আগের নির্বাচন পরিচালনার পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন ছিল। এখন, যদি নির্বাচনের বিষয়টিই সমস্যা হয়, তবে প্রথম কাজ হবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করা।
জয়শঙ্কর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রতিবেশীর জন্য ভারতের গণতান্ত্রিক পছন্দের ওপর জোর দিয়ে বলেন, আমরা যতদূর জানি, আমরা বাংলাদেশের মঙ্গল কামনা করি। আমরা মনে করি একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে, যে কোনো গণতান্ত্রিক দেশই দেখতে চায় যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জনগণের ইচ্ছা নিশ্চিত হোক।
তিনি আরো বলেন, এবং আমি বেশ আত্মবিশ্বাসী যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া থেকে যা কিছু বেরিয়ে আসবে, তা সম্পর্ক সম্পর্কে একটি ভারসাম্যপূর্ণ ও পরিণত দৃষ্টিভঙ্গি রাখবে এবং আশা করি পরিস্থিতি আরও উন্নত হবে।
এলএইস/