আফগানিস্তান–পাকিস্তান সীমান্ত বন্ধ থাকায় প্রতিদিন ৪ মিলিয়ন ডলার করে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে পাকিস্তান। দেশটির রপ্তানিকারকদের বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রায় দুই মাস ধরে সব বাণিজ্যিক ক্রসিং বন্ধ থাকায় এ ক্ষতির পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে।
সারহাদ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এসসিসিআই)-এর সভাপতি ফুয়াদ ইসহাক বলেন, “সীমান্ত দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলে আফগানিস্তান ও মধ্য এশিয়ার বাজার আমাদের হাতছাড়া হয়ে যাবে। পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ধ্বংস হয়ে যাবে। বর্তমান অবস্থায় শোক প্রকাশ করা ছাড়া আমাদের আর কিছুই করার নেই।”
অন্যদিকে, ইমারাতে ইসলামিয়ার মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ হাফিযাহুল্লাহ বলেছেন, পাকিস্তান দৃঢ় নিশ্চয়তা না দেওয়া পর্যন্ত দুই দেশের বাণিজ্য ও ট্রানজিট রুট পুনরায় খোলা হবে না। ইসলামাবাদকে নিশ্চিত করতে হবে যে ভবিষ্যতে এসব করিডোর রাজনৈতিক চাপের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হবে না।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক মাসগুলিতে পাকিস্তান রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত রুটগুলোর কার্যক্রম সীমিত বা বন্ধ করে দিয়েছিল। এতে ডুরান্ড লাইনের দুই পাশের ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণ—উভয়ই গুরুতর ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
এনএইচ/