নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি তুরস্কের প্রথম অরবিটাল ট্রান্সফার ভেহিকল (ওটিভি) ‘এফজিএন-টাগ-এস০১’ মহাকাশ মিশন শুরু করেছে। তুর্কি প্রতিষ্ঠান ফারগানী স্পেস এটি তৈরি করেছে।
তুরস্কের প্রথম অরবিটাল ট্রান্সফার ভেহিকলটি ২৮ নভেম্বর ক্যালিফোর্নিয়ার ভ্যানডেনবার্গ স্পেস ফোর্স বেস থেকে স্পেসএক্সের ফ্যালকন ৯ ট্রান্সপোর্টার–১৫ রকেটে উৎক্ষেপণ করা হয়। মিশন শুরুর ৮১ মিনিট পর সফলভাবে পে-লোড আলাদা হয়ে যায়। মিশনটি ফারগানী স্পেসের মহাকাশ পরিবহন ও কক্ষপথে কৌশলগত পরিচালন সক্ষমতায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
স্থানীয়ভাবে নির্মিত তুরস্কের এই প্রথম স্পেস টাগটিতে পৃথিবীর কক্ষপথে নিক্ষেপযোগ্য বিশ্বের প্রথম হাইব্রিড রকেট ইঞ্জিন যুক্ত করা হয়েছে। নির্ধারিত কক্ষপথে স্থিতিশীল হওয়ার পর মহাকাশযানটি প্রথম পরিকল্পিত হাইব্রিড ইঞ্জিন ফায়ারিং সম্পাদন করবে।
এফজিএন-টাগ-এস০১-এ কম খরচের ও নিরাপদ হাইব্রিড প্রপালশন সিস্টেম স্যাটেলাইটকে বিভিন্ন কক্ষপথে পৌঁছে দিতে এবং তাদের কার্যকাল বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবে। সফল অভিযানটি ভবিষ্যতে ফারগানী স্পেসের কনস্টেলেশন মিশনের পথে নতুন মাইলফলক স্থাপন করবে, যেখানে বিভিন্ন উচ্চতায় স্যাটেলাইট স্থাপন করা হবে।
নিজস্ব প্রযুক্তিতে নির্মিত প্রথম ওটিভি-টি প্রায় ৫০০ কিলোমিটার নিচের কক্ষপথ থেকে ফারগানীর স্যাটেলাইটগুলোকে ১,০০০ কিলোমিটারের বেশি উচ্চতার কক্ষপথে নিয়ে গিয়ে তাদের মিশন-অরবিটে স্থাপন করবে। মহাকাশযানটিতে ফ্লাইট কম্পিউটার, অ্যাভিয়নিক্স, পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন ইউনিট এবং থার্মাল কন্ট্রোলসহ গুরুত্বপূর্ণ সব সিস্টেম ফারগানী স্পেসে স্থানীয়ভাবে তৈরি করা হয়েছে।
এই মহাকাশ যানের যাত্রা শুরুর মাধ্যমে তুরস্ক প্রথমবারের মতো কক্ষপথে হাইব্রিড ইঞ্জিন পরীক্ষা পরিচালনকারী দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।
ফারগানী স্পেসের সিইও সেলচুক বায়রাকতার ২ ডিসেম্বর এক বিবৃতিতে বলেন, তিন সপ্তাহ আগে প্রতিষ্ঠানটির দ্বিতীয় স্যাটেলাইট কাজ শুরু করেছে এবং এখন প্রথম নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি অরবিটাল ট্রান্সফার ভেহিকল কার্যক্রম শুরু করেছে। তিনি বলেন, “সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তির ফসল এই ওটিভি তুরস্কের মহাকাশ সাফল্যের সূচনা করবে।”
সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড, ডেইলি সাবাহ
এলএইস/