ভারতে ক্রমবর্ধমান ইসলামোফোবিয়া, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর চাপ এবং মুসলিম ঐতিহ্য ধ্বংসের প্রবণতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে পাকিস্তান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এসব বিষয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়কে সতর্ক করতে আহ্বান জানিয়েছে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত এক বিবৃতি থেকে এই তথ্য জানা গেছে। খবর—পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ডন নিউজ।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তাহির হুসেইন আন্দ্রাবি বলেন, অযোধ্যায় ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদের জায়গায় নির্মিত রাম মন্দিরে পতাকা উত্তোলন ভারতের বর্তমান পরিস্থিতির ভয়াবহ প্রতিফলন। তার দাবি, ভারতে সংখ্যাগরিষ্ঠতাবাদী হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রভাবে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ইচ্ছাকৃতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, কয়েকটি ঐতিহাসিক মসজিদ বর্তমানে ভাঙার হুমকির মুখে রয়েছে এবং ভারতীয় মুসলিমরা সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে ক্রমবর্ধমান প্রান্তিকতার শিকার হচ্ছেন।
আন্দ্রাবি আন্তর্জাতিক মহলকে ভারতের ইসলামোফোবিয়া, ঘৃণাচার ও ঘৃণাপ্রসূত হামলার বিষয়ে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে জাতিসংঘসহ সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতি ইসলামী ঐতিহ্য রক্ষা এবং সব ধর্মীয় সংখ্যালঘুর অধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।
পাকিস্তান ভারতের সরকারকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী মুসলিমসহ সব ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও তাদের উপাসনালয় রক্ষার আহ্বানও জানিয়েছে।
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর শতাব্দী প্রাচীন বাবরি মসজিদ উগ্রবাদী জনতা কর্তৃক ধ্বংস করা হয়। পরবর্তী বিচারিক প্রক্রিয়ায় অভিযুক্তদের খালাস দেওয়া হয় এবং ধ্বংসাবশেষের স্থানে মন্দির নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়— যা পাকিস্তানের মতে, ভারতের রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোর সংখ্যালঘুবিরোধী আচরণের উদাহরণ।
ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘পবিত্র অনুষ্ঠানে’ রাম মন্দিরের শীর্ষে গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করেছেন, যা মন্দিরের নির্মাণকাজ আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পন্ন হওয়ার ইঙ্গিত বহন করে।
এনএইচ/