মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫ ।। ৪ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ২৫ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
শেখ হাসিনার মামলায় ট্রাইব্যুনালে ১২ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন অধ্যাদেশ কিংবা গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে হবে : বুলবুল জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা আর অর্জনের মাঝে বিস্তর ফারাক রয়েছে: জমিয়ত মহাসচিব দেশকে এগিয়ে নিতে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : ধর্ম উপদেষ্টা গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে ‘নতুন প্রস্তাব’ পেল হামাস ‘ইসলামী ব্যাংকিংয়ের অগ্রযাত্রা টেকসই করতে শরিয়াহ অডিটর তৈরি করা জরুরি’ ভারতের ছয়টি বিমান ভূপাতিত করার ভিডিও আছে: পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ‘আলেমদের মধ্যে মূল উৎস থেকে গবেষণার আগ্রহ কম’ আ. লীগ আমলের প্রশাসন দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: রিজভী ঢাকা-৮ আসন নিয়ে পরিকল্পনা জানালেন রিকশা প্রতীকের প্রার্থী মাওলানা ফয়সাল

মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে গাজার সাংবাদিকরা কাজ করছেন যেভাবে


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

গাজায় সাংবাদিকতার পেশা আজ যেন মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলের অব্যাহত হামলার মধ্যে সাংবাদিকরা প্রতিদিন জীবন বাজি রেখে খবর সংগ্রহ করছেন। প্রায় দুই বছরের লাগাতার যুদ্ধে তারা জনগণের দুর্ভোগ তুলে ধরার পাশাপাশি নিজেরাও সেই একই দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।

প্যালেস্টাইন জার্নালিস্টস সিন্ডিকেটের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ২৩৮ জন সংবাদকর্মী নিহত হয়েছেন। আরও ১২ জন সাংবাদিক কারাগারে বন্দি রয়েছেন।

আহত সাংবাদিক সাফিনাজ আল-লুহ জানান, একাধিকবার হামলায় গুরুতর জখম হলেও তিনি কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। বিস্ফোরণে তার পা ভেঙে যায়, হাতে ফ্র্যাকচার হয় এবং শরীর দগ্ধ হয়। একই যুদ্ধে তিনি হারিয়েছেন নিজের সাংবাদিক ভাই আহমদকে।

আল জাজিরার প্রতিবেদক রামি আবু তাইমা বলেন, বাঁচার জন্য তিনি পরিবারসহ ২০ বারের বেশি আশ্রয় পরিবর্তন করেছেন। তার এক ছেলে ও আট মেয়ে শরণার্থী শিবিরে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। সহকর্মীদের মৃত্যুসংবাদ এখন প্রতিদিনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে।

আল আরাবিয়ার সাংবাদিক ওসামা আল-কাহলুত মনে করেন, এবারকার যুদ্ধ আগের সব সংঘাতকে ছাড়িয়ে গেছে। ক্ষুধা পরিস্থিতিকে করেছে আরও ভয়াবহ। তিনি বলেন, “একদিন তাঁবুতে সহকর্মী রুটি ভাগ করে খাচ্ছে, পরদিনই তার মৃত্যু সংবাদ আসছে।”

প্যালেস্টাইন জার্নালিস্টস সিন্ডিকেটের মহাসচিব আহেদ ফারওয়ানা জানান, সাংবাদিকদের শুধু হামলা নয়—আটক, আহত হওয়া, পরিবার হারানো, অফিস ধ্বংস, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, খাদ্য ও সরঞ্জামের ঘাটতিসহ নানা সংকট মোকাবিলা করতে হচ্ছে। একবারের আক্রমণেই ছয় সাংবাদিক নিহত হওয়ার ঘটনাকে তিনি সবচেয়ে ভয়াবহ আঘাত হিসেবে উল্লেখ করেন।

তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সাংবাদিকদের সুরক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ১৭৩৮ ও ২২২২ নম্বর প্রস্তাব বাস্তবায়নের দাবি করেন, যেখানে সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে সংবাদকর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।

সূত্র : শাফাক নিউজ

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ