ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর একদিনের হামলায় আরও অন্তত ৩২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী, শিশু ও বৃদ্ধ রয়েছেন। এই সহিংসতায় গাজায় মোট প্রাণহানির সংখ্যা ৬১ হাজার ২০০ ছাড়িয়েছে।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
চিকিৎসা সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শুরু হওয়া বিমান ও ড্রোন হামলায় অসংখ্য লোক হতাহত হয়েছেন। গাজা শহরের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত আল-শাতি শরণার্থী শিবিরে একটি আবাসিক ভবনে হামলায় তিনজন নিহত হন।
উত্তর গাজার শেখ রিদওয়ান এলাকায় এক বৃদ্ধ এবং দুই নারী প্রাণ হারান। পূর্ব গাজার আল-তুফাহ এলাকায় এক নারী নিহত হন। একই এলাকায় একটি তাঁবুতে আশ্রয় নেওয়া এক পরিবার—পিতা, মাতা ও তাদের চার শিশু—একটি ড্রোন হামলায় নিহত হয়।
মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে একটি অ্যাপার্টমেন্টে চালানো হামলায় দুই শিশুসহ চারজন নিহত হন।
দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে একটি বাড়িতে গোলাবর্ষণের ঘটনায় পাঁচজন নিহত হন, যার ফলে সেখানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটে। একই এলাকায় আল-মাওয়াসি অঞ্চলে বাস্তুচ্যুতদের একটি তাঁবুতে ড্রোন হামলায় এক নারী ও তার শিশু নিহত হন। খান ইউনিসের বানি সুহেইলা অঞ্চলে আরও তিনজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এছাড়া রাফাহ শহরে ত্রাণ সহায়তা সংগ্রহের জন্য অপেক্ষমাণ অবস্থায় ইসরায়েলি গুলিতে আরও পাঁচজন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই যুদ্ধের ফলে গাজা উপত্যকা প্রায় পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং অঞ্চলটি চরম মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।
গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং দেশটির সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গালান্তের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। একইসঙ্গে গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইজে) মামলাও চলমান রয়েছে।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
এসএকে/