শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ১০ পৌষ ১৪৩২ ।। ৬ রজব ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামপন্থীদের ‘একবাক্স নীতি’ কি মুখ থুবড়ে পড়ছে? শহীদ হাদির আদর্শ সামনে রেখে মিশরে 'আজহার আফকার'র যাত্রা আবারও বাংলাদেশি সন্দেহে ভারতে মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যা তারেক রহমানের দেশে ফেরা গণতান্ত্রিক সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ অর্জন: হাসনাত ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের এভারকেয়ার থেকে গুলশানের বাসার উদ্দেশে তারেক রহমান সাহিত্য সভায় বিশেষ সম্মাননা পেলেন কবি ও লেখক মোহাম্মদ কুতুবউদ্দিন মহানবী (সা.)-এর ন্যায়পরায়ণতার আলোকে দেশ পরিচালনা করবো: তারেক রহমান ১ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়ে যা বললেন পীর সাহেব চরমোনাই

ইসরায়েলকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা দিতে সৌদিকে অনুরোধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইরানের সঙ্গে সংঘাতের সময় ইসরায়েলকে আকাশ প্রতিরক্ষা সহায়তা দিতে সৌদি আরবকে অনুরোধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে রিয়াদ সেই অনুরোধে সাড়া দেয়নি বলে জানিয়েছে মিডল ইস্ট আই।

গত জুনে ইরানের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়ায় ইসরায়েল। ওই সময় ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধে ইসরায়েলের টার্মিনাল হাই অলটিটিউড এরিয়া ডিফেন্স (THAAD) ব্যবস্থায় ঘাটতি দেখা দেয়। যদিও সৌদি আরবের হাতে THAAD না থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছিল। ফলে যুক্তরাষ্ট্র সৌদিকে অনুরোধ করেছিল কিছু প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ইসরায়েলের জন্য বরাদ্দ দিতে।

এই অনুরোধের বিষয়ে অবগত দুই মার্কিন কর্মকর্তা মিডল ইস্ট আইকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তাদের একজন বলেন, “যুদ্ধকালীন সময়ে আমরা মধ্যপ্রাচ্যে যেসব দেশের কাছে মার্কিন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছিল, সবাইকেই ইসরায়েলকে সহায়তা দিতে বলেছিলাম। শুধু সৌদিকে নয়।”

তবে মার্কিন কর্মকর্তাদের মতে, ইরানের হুমকি মোকাবেলায় সৌদি আরব ছিল সবচেয়ে উপযুক্ত অবস্থানে। এর আগে হুথিদের হামলা ঠেকাতে সৌদি আরব নিজ দেশেই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করেছিল।

এদিকে, সংঘাত চলাকালে সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি THAAD সিস্টেমের প্রথম ব্যাটারিটি গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। যুদ্ধবিরতির মাত্র নয় দিন পর, ৩ জুলাই সেটি আনুষ্ঠানিকভাবে সক্রিয় করে সৌদি সেনাবাহিনী।

সংঘাতের সময় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা মজুত দ্রুত ফুরিয়ে আসছিল। গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রের হাতে মাত্র ২৫ শতাংশ প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অবশিষ্ট ছিল, যা বৈশ্বিক সামরিক কৌশলের জন্য বিপজ্জনকভাবে কম।

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের সময়ে ইসরায়েলের নিজস্ব তিন স্তরের আকাশ প্রতিরক্ষার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যান্ডার্ড মিসাইল-৩ (SM-3) ও অন্যান্য ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও ইরান ইসরায়েলের সামরিক স্থাপনাগুলোতে সরাসরি আঘাত হানতে সক্ষম হয়।

বিশ্লেষকদের মতে, ইরান যেভাবে টানা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, তা আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার দীর্ঘমেয়াদি সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। মিচেল ইনস্টিটিউট ফর অ্যারোস্পেস স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক ডগলাস বারকি বলেন, “সমস্যাটা হলো, দীর্ঘমেয়াদি সংঘাতে প্রতিরক্ষা মজুত ফুরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। নতুন করে তৈরি করার সক্ষমতাও সীমিত।”

শেষপর্যন্ত, যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবের সঙ্গে আরও গভীর আলোচনা শুরু করে, যাতে তাদের কেনা THAAD সিস্টেম ইসরায়েলের সহায়তায় ব্যবহার করা যায়। একইসঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতকেও অনুরোধ করা হয়। তবে আমিরাত ইসরায়েলকে বাস্তবে সহায়তা দিয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করেননি সংশ্লিষ্ট মার্কিন কর্মকর্তারা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ইরানের এ হামলা উপসাগরীয় অঞ্চলের তুলনামূলক কম সুরক্ষিত দেশগুলোকে নতুন করে নিরাপত্তা ভাবনায় ফেলেছে।

সূত্র: মিডল ইস্ট আই

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ