শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫ ।। ১৬ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
সৌদির শাসকদের নিয়ে যা বললেন গ্র্যান্ড মুফতি কওমি শিক্ষার্থীদের দেশ-জাতির সেবায় নিয়োজিত করার বিষয়টি কোথায় আটকে আছে? ৪ দিনের কর্মসূচির ঘোষণা প্রাথমিক শিক্ষকদের আলী রীয়াজসহ সংস্কার কমিশনের সব সদস্যকে গ্রেফতার করতে হবে: মাওলানা ইউসুফী আমরা মওদুদি ইসলাম নয়, মদিনার ইসলামের অনুসারী: সালাহউদ্দিন নতুন বাংলাদেশ গড়তে ইসলামী আদর্শের দিকে ফিরে আসতে হবে: প্রফেসর মুজিবুর রহমান জুলাই সনদ দ্রুত বাস্তবায়ন করে দেশ ও শ্রমিকদের অনিশ্চয়তা থেকে রক্ষা করুন: ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন  জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট না হলে ফ্যাসিবাদ পুনরায় মাথা চাড়া দিবে  ইসলামী আন্দোলন ঢাকা জেলা উত্তরের নির্বাচনি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত আজ থেকে বন্ধ হচ্ছে ১০টির বেশি সিম

আফ‘গা‘নিস্তা‘নে ১০ হাজার টন কিশমিশ প্রক্রিয়াকরণ কারখানার উদ্বোধন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

কাবুল প্রদেশের এস্তালেফ জেলায় একটি বৃহৎ কিশমিশ প্রক্রিয়াকরণ কারখানার উদ্বোধন করা হয়েছে, যার বার্ষিক প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতা ১০,০০০ টন। অর্থনৈতিক বিষয়ক উপ-প্রধানমন্ত্রী মোল্লা আব্দুল গনি বারাদারের উপস্থিতিতে এ কারখানার উদ্বোধন হয়।

কারখানাটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১২৮ একর জমির ওপর, যেখানে প্রায় ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে। এই প্রকল্পটি কেবল কৃষি পণ্যের মূল্য সংযোজনের দিকেই নয়, বরং দেশের অর্থনীতির টেকসই উন্নয়ন, রপ্তানিতে মান উন্নয়ন এবং শিল্পখাতে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির দিকেও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মোল্লা বারাদার বলেন, "এই ধরনের কারখানা দেশের কৃষিপণ্যকে আন্তর্জাতিক মানে রূপান্তরিত করতে সহায়তা করবে। পাশাপাশি, এটি রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগও সৃষ্টি করবে।"

কাবুলের গভর্নর আমিনুল্লাহ ওবায়েদ জানান, ১৪০৩ সৌর বর্ষে কাবুল প্রদেশের বিভিন্ন খাতে ১.৩ বিলিয়ন আফগানি ব্যয় করা হয়েছে। এর একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এই ধরনের উৎপাদনমুখী প্রকল্পে বরাদ্দ হয়েছে।

কারখানার পরিচালক মাসিহ ভিকোভিদা বলেন, “আফগান কিশমিশের গুণগতমান বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত হলেও, অনেক দেশ নিজেদের নামে তা রপ্তানি করছে। এই কারখানার মাধ্যমে আমরা আমাদের কিশমিশ আফগানিস্তানের নামেই রপ্তানি করতে চাই।”

চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের প্রথম উপ-সভাপতি মোহাম্মদ ইউনুস মোহমান্দ জানান, এই কারখানা সরাসরি বা পরোক্ষভাবে প্রায় ৩ হাজার দ্রাক্ষাক্ষেত্র মালিকের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করবে।

এদিকে কৃষি, সেচ ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী সদর আজম ওসমানী বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হলো, কৃষি প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে আমদানিনির্ভরতা কমিয়ে রপ্তানিকেন্দ্রিক অর্থনীতিতে রূপান্তর।”

প্রসঙ্গত, ইসলামী আমিরাত শাসন শুরু হওয়ার পর থেকে দেশজুড়ে প্রায় ৩৮০টি কারখানা চালু হয়েছে, যার মাধ্যমে ২০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ হয়েছে। এটি দেশীয় ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার প্রতিফলন হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ