শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ১০ পৌষ ১৪৩২ ।। ৬ রজব ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামপন্থীদের ‘একবাক্স নীতি’ কি মুখ থুবড়ে পড়ছে? শহীদ হাদির আদর্শ সামনে রেখে মিশরে 'আজহার আফকার'র যাত্রা আবারও বাংলাদেশি সন্দেহে ভারতে মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যা তারেক রহমানের দেশে ফেরা গণতান্ত্রিক সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ অর্জন: হাসনাত ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের এভারকেয়ার থেকে গুলশানের বাসার উদ্দেশে তারেক রহমান সাহিত্য সভায় বিশেষ সম্মাননা পেলেন কবি ও লেখক মোহাম্মদ কুতুবউদ্দিন মহানবী (সা.)-এর ন্যায়পরায়ণতার আলোকে দেশ পরিচালনা করবো: তারেক রহমান ১ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়ে যা বললেন পীর সাহেব চরমোনাই

আফগান শরণার্থীদের ফেরত পাঠাতে তালেবান সরকারের সঙ্গে কথা বলতে চায় সুইজারল্যান্ড

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সাম্প্রতিক এক পদক্ষেপে, সুইজারল্যান্ডের একাধিক রাজনীতিবিদ ও আইনপ্রণেতা আফগান আশ্রয়প্রার্থীদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া সহজ করতে আফগানিস্তানের ইসলামিক আমিরাতের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরাসরি সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন।

তাদের দাবি, এই প্রস্তাব রাজনৈতিক স্বীকৃতি বা সহযোগিতার উদ্দেশ্যে নয়, বরং কেবল অভিবাসনসংক্রান্ত জটিলতা দূর করার জন্য। সুইস গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব আফগান আশ্রয়প্রার্থীর আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে, তাদের ফেরত পাঠাতে ইসলামিক আমিরাতের সঙ্গে সমন্বয় করা অপরিহার্য।

প্রতিবেদনের একটি অংশে বলা হয়েছে, “আফগান শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তনের জন্য বর্তমান আফগান প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অন্যান্য দেশের মতো, সুইজারল্যান্ডেও আফগান কনস্যুলার কর্মকর্তাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে বহিষ্কার প্রক্রিয়ায় সহায়তা নেওয়া উচিত।”

এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষক শামস রহমান আহমাদী বলেন, “বিশ্বব্যাপী শরণার্থীদের সঙ্গে মর্যাদা ও সম্মানের আচরণ করা উচিত। সুইজারল্যান্ড যদি এই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে, তাহলে তারা ইসলামিক আমিরাতের সঙ্গে দ্রুত কূটনৈতিক সম্পর্ক সম্প্রসারণে পদক্ষেপ নিতে পারে।”

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে ইসলামিক আমিরাতের যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে আফগান সরকারের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির পথ উন্মুক্ত হতে পারে। তাদের মতে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাহিদার প্রতি দায়িত্বশীল সাড়া দেওয়াও ইসলামী আমিরাতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্লেষক এদ্রিস মোহাম্মদী জাজাই বলেন, “একই কৌশলে আমরা অগ্রসর হলে ভবিষ্যতে অনেক অর্জন সম্ভব। আমাদের আশা, এই সংলাপ স্বীকৃতির দ্বার উন্মুক্ত করবে।”

আরেক বিশ্লেষক কামরান আমান বলেন, “এখানে দুটি দিক রয়েছে—একদিকে আফগানিস্তানের স্বীকৃতি ইউরোপের জন্য কৌশলগত প্রয়োজন, অন্যদিকে বৈশ্বিক রাজনীতিতে বহুমেরুত্ব বাড়ছে। রাশিয়া যখন আফগানিস্তানকে স্বীকৃতি দিয়েছে, তখন অন্যান্য দেশগুলোও অনুসরণ করতে শুরু করেছে। এখন ইউরোপীয় দেশগুলোও আফগান জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের আগ্রহ দেখাচ্ছে।”

উল্লেখ্য, এর আগে জার্মানি আফগান অন্তর্বর্তী সরকারের দুই কূটনীতিককে স্বাগত জানায় এবং যুক্তরাজ্যের বিশেষ দূতও আফগানিস্তানের অগ্রগতির জন্য সংলাপ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সম্পৃক্ততার ওপর গুরুত্ব দেন।

 এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ