সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫ ।। ১৮ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
জুলাই আন্দোলনের অগ্রসেনানী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে মামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ খুলনায় হাতপাখার সংসদ সদস্য প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির জরুরী বৈঠক সার্বিক উন্নয়ন ও ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে চাই: হাফিজ ফখরুল ইসলাম ফরিদপুরে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীর প্রচারণার গেট ও ব্যানার ভাঙচুর  জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য নভেম্বরেই গণভোট দিতে হবে: এ টি এম মাছুম জামায়াত আমিরের আসনে বিএনপির প্রার্থী হলেন যিনি খালেদা জিয়াসহ ৯ নারী পেলেন বিএনপির মনোনয়ন ২৩৭ আসনে বিএনপির ধানের শীষ পেলেন যারা নাসিরুদ্দিন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে মামলায় মতিউর রহমান আকন্দ নিন্দা বস্ত্রহীন ঘুমানোর হুকুম কী ?

‘ফিলিস্তিনি মুক্তির শেষ অধ্যায় রচনা করে গেছেন কমান্ডার মোহাম্মদ দেইফ’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের অন্যতম কিংবদন্তি নেতা, আল-কাসসাম ব্রিগেডের চিফ অব স্টাফ শহীদ মোহাম্মদ দেইফের মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর স্মৃতি ও সংগ্রামকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছেন সংগঠনটির মুখপাত্র আবু উবাইদাহ। তিনি বলেন, “দেইফের ভাইয়েরা, সন্তানেরা এবং বিশ্বজুড়ে তার আদর্শের অনুসারীরা আজো তাঁর পথ অনুসরণ করছে এবং দখলদার শক্তির বিরুদ্ধে কৌশলগতভাবে আঘাত হানছে।”

রোববার (১৩ জুলাই) নিজের টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে আবু উবাইদাহ বলেন, “মোহাম্মদ দেইফ যে উত্তরাধিকার রেখে গেছেন, তা ইসরায়েলি যুদ্ধাপরাধী ও দখলদারদের জন্য চিরস্থায়ী এক দুঃস্বপ্ন হয়ে থাকবে।”

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যখন মোহাম্মদ দেইফ ও তাঁর সহযোদ্ধারা তাদের রক্ত দিয়ে ফিলিস্তিন মুক্তির শেষ অধ্যায় লিখে গেছেন, তখন এই ভূমিতে দখলদাররা আর কখনো নিরাপদে বসবাস করতে পারবে না।”

আবু উবাইদাহ আরও বলেন, “দেইফের নেতৃত্বে পরিচালিত ‘আল-আকসা বন্যা’ অভিযান ইতিহাসে দখলদার শক্তির ওপর সবচেয়ে শক্তিশালী ও ভীতিকর আঘাত হিসেবে বিবেচিত হবে। এই অভিযান শুধু ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকেই নাড়া দেয়নি, বরং পুরো মুসলিম উম্মাহকে আবারও ফিলিস্তিন প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং প্রতিরোধ সংগ্রামকে বৈশ্বিকভাবে আলোচনার কেন্দ্রে ফিরিয়ে এনেছে।”

তিনি বলেন, “দশকের পর দশক ধরে তিনি জিহাদ, আত্মত্যাগ, বুদ্ধিমত্তা ও নেতৃত্ব দিয়ে প্রতিরোধের যে ভিত্তি গড়েছেন, তা শহিদি পরিণতির মধ্য দিয়েই পূর্ণতা পেয়েছে। আজ মহান এই কমান্ডার শহীদদের কাতারে—যাঁদের রক্ত মিশে গেছে আমাদের সন্তানের রক্তের সঙ্গে, যারা আল-আকসা ও ফিলিস্তিনের জন্য নিজেদের সবকিছু বিলিয়ে দিয়েছে।”

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড এক বিবৃতিতে জানায়, তাদের চিফ অব স্টাফ মোহাম্মদ দেইফ শহীদ হয়েছেন। তাঁর সঙ্গে আরও কয়েকজন শীর্ষ কমান্ডারও শহীদ হন। কারও শাহাদাত হয়েছে কমান্ড সেন্টারে, কেউ সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুর মুখোমুখি হয়ে শহীদ হয়েছেন, আবার কেউ শহীদ হন মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাঁটি পরিদর্শনের সময়।

সূত্র: আল-মায়াদিন

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ