এবারের পবিত্র হজের আয়োজনকে ব্যতিক্রমী এবং ঐতিহাসিক বলে আখ্যায়িত করেছেন মসজিদে হারামের ইমাম ও খতিব, হারামাইন আশ-শারিফাইন বিষয়ক প্রেসিডেন্ট শাইখ আব্দুর রহমান আস-সুদাইস।
১৪৪৬ হিজরির হজ আয়োজন নিয়ে একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেন।
শাইখ আস-সুদাইস বলেন, ‘আমি দীর্ঘ চল্লিশ বছর যাবত পবিত্র হারামের খেদমতরত ও সম্মানিত। আজকে আমি আল্লাহকে সাক্ষী রেখে ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করছি, এই হজের মৌসুম একটি ব্যতিক্রমী এবং ঐতিহাসিক হজ মৌসুম।’
গত ৫ জুন পালিত হয় এবারের পবিত্র হজ। গ্রীষ্মের মাঝামাঝি সময়ে হজ অনুষ্ঠিত হলেও তুলনামূলকভাবে স্বস্তিদায়ক ও নিরাপদ ছিল এবারের হজ। গত বছরের চরম গরমে ১,৩০০-এর বেশি হাজির মৃত্যুর করুণ স্মৃতি থেকে যেন ভালোভাবেই শিক্ষা নিয়েছে সৌদি সরকার। দেশটির আগাম প্রস্তুতি, কঠোর ব্যবস্থাপনা, পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা ও সচেতনতা কার্যক্রমের কারণে এবারের হজকে ঘিরে ব্যাপক প্রশংসা এসেছে দেশি-বিদেশি হজযাত্রীদের কাছ থেকে।
সৌদির হজ ও ওমরা বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তীব্র গরম থাকা সত্ত্বেও এবারের হজে গরমজনিত কারণে কোনো হজযাত্রীর মৃত্যুর তথ্য পাওয়া যায়নি। গরমজনিত অসুস্থতার হারও গতবারের তুলনায় প্রায় ৯০ শতাংশ কম ছিল।
২০২৪ সালের হজে সরকারি নিবন্ধনের বাইরে প্রায় অর্ধলক্ষ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেছিলেন। কড়াকড়ির ঘাটতির কারণে তারা হজে এলেও কোনো ধরনের স্বাস্থ্যসেবা বা আনুষ্ঠানিক তত্ত্বাবধায়নের আওতায় ছিলেন না। ফলে অপ্রতিরোধ্য গরমে মৃত্যুহার ছিল আশঙ্কাজনক। অসংখ্য মানুষ বেহুঁশ হয়ে রাস্তায় পড়ে ছিলেন—সেই করুণ চিত্র বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তুলেছিল। এবার সে অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সৌদি সরকার ছিল সর্বোচ্চ সতর্ক। হজের প্রতিটি ধাপে নেওয়া হয়েছিল সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা।
এমএম/