বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫ ।। ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ ।। ২ জিলহজ ১৪৪৬

শিরোনাম :
শায়খ আহমাদুল্লাহ জানালেন জিলহজের প্রথম দশকের ১১ আমল জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ডা. মাহাথিরকে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা  উপকূল অতিক্রম করছে গভীর নিম্নচাপ, হতে পারে জলোচ্ছ্বাস ইরানি ধর্মীয় নেতাকে মুক্তি দিয়েছে সৌদি আরব বাবুনগর মাদ্রাসায় ‘কুরবানীর ফাযায়িল ও মাসায়িল’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত এবারের হজ ব্যবস্থাপনা, চ্যালেঞ্জের মধ্যেও সফল আয়োজন: ধর্ম মন্ত্রণালয় ভাটারার মারকাযুল হুদা মাদরাসায় আবাসিক মাদানী শিক্ষক নিয়োগ সচিবালয়ের কর্মচারীদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, উপকূলে টানা বৃষ্টিপাত নির্বাচন ইস্যুতে এনসিপি নেতাকর্মীদের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন ববি হাজ্জাজ

ইসলামফোবিয়ার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার ডাক আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে বাড়তে থাকা বিদ্বেষ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ।

সোমবার দেশটির রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত ‘Islamophobia in Focus: Unveiling Bias, Shattering Stigmas’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে পাঠানো এক লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘ইসলামফোবিয়া এখন একটি বৈশ্বিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুসলিম বিশ্ব এই অন্যায় ও বিপজ্জনক প্রবণতার বিরুদ্ধে একযোগে কণ্ঠ তুলতে হবে।’

আলিয়েভ বলেন, ‘ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ, ঘৃণা ও অসহিষ্ণুতা দিন দিন বাড়ছে এবং তা আজ আর বিচ্ছিন্ন নয়, বরং বেশ ‘সুনির্দিষ্ট ও কাঠামোবদ্ধ’।’

প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ইসলামফোবিয়া আজ কিছু দেশে কার্যত রাষ্ট্রীয় নীতিতে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে যেসব দেশের ঔপনিবেশিক অতীত আছে, সেখানে মুসলমানদের ধর্মীয় স্বাধীনতা, শিক্ষা, আবাসন ও কর্মসংস্থানের অধিকার ক্রমাগতভাবে খর্ব করা হচ্ছে—সবই ধর্মনিরপেক্ষতার ছদ্মাবেশে।’

আজারবাইজান প্রেসিডেন্ট স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন, ইসলামের ওপর আক্রমণ ও মুসলমানদের হেয় প্রতিপন্ন করার প্রচেষ্টা স্বাধীন মত প্রকাশের নামে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

তিনি অভিযোগ করেন, কিছু রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক গোষ্ঠী এই ইসলামবিদ্বেষকে উসকে দিচ্ছে। ‘চরমপন্থী দল ও ডানপন্থী রাজনীতিকেরা ইসলাম ও মুসলমানদের পশ্চিমা মূল্যবোধের জন্য হুমকি হিসেবে তুলে ধরে জনমত পেতে চাইছে,’ বলেন তিনি।

আলিয়েভ বলেন, ‘কিছু গণমাধ্যম ইসলামকে উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে ইচ্ছাকৃতভাবে গুলিয়ে ফেলে। তারা ইসলামকে একটি হুমকি হিসেবে তুলে ধরে নেতিবাচক জনমত তৈরি করছে। মুসলমানদের প্রতি সমাজে ভয় ও অবিশ্বাস ছড়িয়ে দিচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ও ইউরোপ কাউন্সিলের পার্লামেন্টারি অ্যাসেম্বলি ইসলামফোবিয়া বিস্তারে পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখছে—তাদের পক্ষপাতমূলক ও দ্বিমুখী নীতির কারণে।

বক্তব্যের শেষ ভাগে প্রেসিডেন্ট আলিয়েভ ইসলাম সম্পর্কে বলেন, ‘ইসলাম হলো শান্তি, সংহতি ও করুণার ধর্ম। যতোই অপপ্রচার চালানো হোক, ইসলাম এখনও ন্যায়বিচার, মানবিকতা ও উচ্চ নৈতিক মূল্যবোধের প্রতীক। এটি কোটি কোটি মানুষের জন্য নৈতিক দিকনির্দেশনা হয়ে রয়েছে।’

সূত্র: আনাদোলু

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ