বিশ্বের সর্ববৃহৎ মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ায় শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান মাস। দেশটির সরকার শনিবার (১ মার্চ) থেকে রমজান মাস শুরুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে। এরই মধ্যে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা মসজিদে সমবেত হয়ে তারাবির নামাজ আদায় শুরু করেছেন। খবর রয়টার্স।
ইন্দোনেশিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম ‘অন্তরা’ জানিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এক বিশেষ বৈঠকের মাধ্যমে রমজান মাস শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানী জাকার্তায় অবস্থিত ধর্ম ভবনে ‘ইসবাত’ নামক এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের শীর্ষ ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, সরকারি কর্মকর্তাসহ বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে দেশটির ধর্মমন্ত্রী নাসরুদ্দিন ওমর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ইসবাত বৈঠকের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শনিবার (১ মার্চ) ১৪৪৬ হিজরি সনের রমজান মাস শুরু হচ্ছে।
ইন্দোনেশিয়ায় ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে তারাবির নামাজের মাধ্যমে রমজানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। রাজধানী জাকার্তাসহ দেশের বিভিন্ন শহরের মসজিদে মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা রমজানের প্রথম তারাবির নামাজ আদায়ে বিশেষ উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখিয়েছেন।
এদিকে, প্রতিবেশী দেশ মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইয়ে রমজান শুরু হবে পরদিন শনিবার (২ মার্চ) থেকে। ওই দুই দেশও আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দিয়েছে। এর আগে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ১ মার্চ রমজান শুরুর ঘোষণা দেয় এবং পরে ইন্দোনেশিয়াও একই দিন রমজান শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়।
অপরদিকে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে চাঁদ দেখার প্রস্তুতি চলছে। ইসলামের পবিত্র ভূমি সৌদি আরবে চাঁদ দেখার জন্য বিশেষ দুরবিনসহ উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্র বসানো হয়েছে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও খালি চোখে চাঁদ দেখার আহ্বান জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় জানা যাবে, সৌদি আরবে শনিবার থেকে রমজান শুরু হবে কি না।
রমজানের শুরু উপলক্ষে ইন্দোনেশিয়ায় সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। খাদ্যপণ্য সরবরাহ, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে সরকারের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া দেশের প্রধান মসজিদগুলোতে ধর্মীয় আয়োজন এবং ইফতার বিতরণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য এটি এক বিশেষ আনন্দের সময়। পবিত্র রমজান মাসে তারা ধর্মীয় অনুশাসন মেনে রোজা পালন, ইবাদত ও দান-সদকা করার মাধ্যমে আত্মশুদ্ধির পথ অনুসরণ করবেন।
হাআমা/
 
                              
                           
                              
                           
                         
                              
                           
                        
                                                  
                                                  
                                               
                                                  
                                               
                                      
                                         
                                      
                                         
                                      
                                         
                                      
                                         
                               
                               
                              