মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫ ।। ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ৬ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদরাসার ইসলাহি মজলিস বৃহস্পতিবার ‘জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করতে না পারা এই সরকারের বড় ব্যর্থতা’ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ড, ইরানে নতুন আইন ইসরাইলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের আহ্বান ইরানি সুন্নি আলেমদের মিশরে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের গৌরবময় অর্জন আফগানিস্তানে অনৈসলামিক কার্যকলাপের অভিযোগে গুঁড়িয়ে দেয়া হল মাজার দুঃখ প্রকাশ না করা পর্যন্ত শান্তি পাবে না: আ. লীগকে শফিকুল আলম জুলাই বিক্রি হয়ে গেছে : আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান আলিম পরীক্ষায় শেখ মুজিবকে নিয়ে প্রশ্ন, ছাত্রদের ক্ষোভ প্রকাশ হাসিনা ও তার দলের প্রতি আপনাদের মনোযোগ যথাযথ না থাকলে ইনসাফ হবে না

যে শর্তে ইসরায়েলে হামলা বন্ধের ঘোষণা দিল হিজবুল্লাহ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় পূর্ণ যুদ্ধবিরতি হলে ইসরায়েলের সঙ্গে লড়াই বন্ধ করবে লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধাদল হিজবুল্লাহ। হিজবুল্লাহর উপ-প্রধান শেখ নাইম কাসেম এই ঘোষণা দিয়েছেন। বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে হিজবুল্লাহর রাজনৈতিক কার্যালয়ে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান। খবর ডেইলি সাবাহর।

শেখ নাইম কাসেম বলেন, যদি গাজায় যুদ্ধবিরতি হয়, আমরা কোনো আলোচনা ছাড়াই থামব। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে হিজবুল্লাহর অংশগ্রহণ মিত্র হামাসের জন্য একটি সমর্থন ফ্রন্ট হিসেবে। যদি যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যায়, এই সামরিক সমর্থন আর থাকবে না।

তবে, ইসরায়েল আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতি চুক্তি এবং গাজা থেকে সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার না করলে লেবানন-ইসরায়েল সীমান্ত সংঘাত কেমন হবে তা তিনি স্পষ্ট করেননি। তিনি বলেন, গাজায় যা ঘটে তা যদি যুদ্ধবিরতি ও যুদ্ধের মাঝামাঝি হয় তাহলে আমাদের জবাব কেমন হবে, তা এখনো বলতে পারছি না। কারণ আমরা এর ধরন, ফলাফল ও প্রভাব সম্পর্কে এখনো জানি না।

গত অক্টোবর থেকে গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলি হামলায় ৩৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই লেবানন সীমান্তে ইসরায়েলি সেনা ও হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা নিয়মিত পাল্টাপাল্টি হামলা করছে। হিজবুল্লাহ বলছে, ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসনের প্রতিবাদ এবং গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদল হামাসের সমর্থনে তারা ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করছে। এসব হামলায় দুই পক্ষের বহু প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

গত ১১ জুন ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার তালিব সামি আবদুল্লাহ নিহত হলে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়ে। ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহ শত্রু ঘাঁটিতে হামলা জোরদার করে। ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র তেল আবিবকে হিজবুল্লাহর সঙ্গে উত্তেজনা প্রশমনের পরামর্শ দিলেও নেতানিয়াহু সরকার তা আরও বাড়িয়ে চলেছে। এতে দু’পক্ষের মধ্যে নতুন করে যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ