মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫ ।। ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ৬ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
‘জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করতে না পারা এই সরকারের বড় ব্যর্থতা’ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ড, ইরানে নতুন আইন ইসরাইলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের আহ্বান ইরানি সুন্নি আলেমদের মিশরে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের গৌরবময় অর্জন আফগানিস্তানে অনৈসলামিক কার্যকলাপের অভিযোগে গুঁড়িয়ে দেয়া হল মাজার দুঃখ প্রকাশ না করা পর্যন্ত শান্তি পাবে না: আ. লীগকে শফিকুল আলম জুলাই বিক্রি হয়ে গেছে : আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান আলিম পরীক্ষায় শেখ মুজিবকে নিয়ে প্রশ্ন, ছাত্রদের ক্ষোভ প্রকাশ হাসিনা ও তার দলের প্রতি আপনাদের মনোযোগ যথাযথ না থাকলে ইনসাফ হবে না মুজিববাদী সংবিধান ফেলে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে: আখতার হোসেন

'সন্ত্রাসী' তালিকা থেকে হিজবুল্লাহকে বাদ দিলো আরব লীগ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

লেবাননের সশস্ত্র ইসলামি গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে আর সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করা হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে আরব বিশ্বের দেশগুলোর জোট আরব লীগ। শনিবার আরব লীগের সহকারী মহাসচিব ও মিসরীয় কূটনীতিক হোসাম জাকি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সংসদীয় উপদলের নেতা মোহাম্মদ রাদের সাথে বৈরুতে এক বৈঠকের পর ওই ঘোষণা দিয়েছেন।

আরবি ভাষার সংবাদমাধ্যম আল-আখবারকে তিনি বলেছেন, হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর ওপর থেকে সন্ত্রাসী তকমা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরব লীগ। কারণ এই গোষ্ঠীটি বর্তমান রাজনীতি ও লেবাননের ভবিষ্যতের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

হিজবুল্লাহকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তালিকা থেকে আরব বিশ্বের বাদ দেওয়ার এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে পশ্চিমা গণমাধ্যম এখনও নীরব রয়েছে।

আল-আখবার বলেছে, ২০১৬ সালের পর আরব লীগের সহকারী মহাসচিব জাকির সাথে হিজবুল্লাহর নেতা রাদ প্রথমবারের মতো বৈঠক করেছেন। ওই বছর সৌদি আরবের উদ্যোগে শিয়া মতাবলম্বী গোষ্ঠীটিকে ‘‘সন্ত্রাসী সংগঠন’’ হিসেবে ঘোষণা দেয় আরব লীগ।

একই সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানি প্রভাব বিস্তারের পাশাপাশি ইরাক, ইয়েমেন, লেবানন, সিরিয়া ও আরব উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের জন্য হিজবুল্লাহকে দায়ী করা হয়েছিল।

বৈরুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মিসরীয় ওই কূটনীতিক বলেছেন, আরব লীগের মহাসচিব আহমেদ আবুল ঘেইতের পক্ষে লেবানন ও এর জনগণের প্রতি এই অঞ্চলের সম্প্রদায়গুলোর সংহতি প্রকাশের লক্ষ্যে তিনি বৈরুত সফর করছেন।

আরব লীগের সহকারী এই মহাসচিব বলেছেন, দক্ষিণে সামরিক উত্তেজনা বৃদ্ধি কেবল লেবাননেই নয়, বরং পুরো মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য গুরুতর চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। বিশেষ করে সংঘাত যদি ছড়িয়ে পড়ে, তখন সেটি মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে পড়বে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মিসরীয় এই কূটনীতিক জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনা ১৭০১ মেনে চলার জন্য সব পক্ষের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধের অবসানের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে; যা দক্ষিণ লেবাননে সংঘাত বন্ধ করবে।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ