সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ১৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামী অনুশাসন প্রতিষ্ঠা ছাড়া দুর্নীতি নির্মূল করা সম্ভব নয় : মাওলানা মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ আলম বিএনপির সঙ্গে জোট করার বিষয়ে যা বললেন রাশেদ খাঁন মহাসড়কে পড়ে ছিল নৌবাহিনী সদস্যের মরদেহ জামিন পাননি বাউল শিল্পী আবুল সরকার, শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ‘দীনি শিক্ষাব্যবস্থায় গুণগত মানের ঘাটতি উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে’ আলোকিত সমাজ গড়তে শিক্ষকদের জন্য উন্নত কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই : মাসুদ সাঈদী এবার লাখো কণ্ঠে কোরআন তেলাওয়াত আয়োজনের ঘোষণা হুমায়ুনের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৯০ টন পেঁয়াজ আমদানি মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তার সঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের বৈঠক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে আইনি নোটিশ

জাতিসংঘের কালো তালিকায় ইসরায়েল ও হামাস

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইসরায়েলের সশস্ত্র ও নিরাপত্তা বাহিনী, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসলামিক জিহাদ এবং সুদানের বিদ্রোহী দলগুলোর নাম জাতিসংঘের কালো তালিকায় রাখা হয়েছে। ২০২৩ সালে শিশুদের ওপর করা সহিংসতার দায়ে তাদের নাম তালিকাভুক্ত করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

মঙ্গলবার শিশুদের বিরুদ্ধে লঙ্ঘনবিষয়ক অপরাধীদের একটি বার্ষিক বৈশ্বিক তালিকায় তাদের নাম যুক্ত করেছেন তিনি। খবর রয়টার্সের।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ঐ প্রতিবেদনে, স্কুল ও হাসপাতালে হামলার জন্য ইসরায়েল ও সুদানের সশস্ত্র বাহিনী এবং শিশুদের অপহরণের জন্য হামাস ও ইসলামিক জিহাদের নিন্দা করেছেন গুতেরেস। গত বছরের এপ্রিল থেকে সুদানের সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে আধা-সামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স।

শিশুদের নিয়োগ ও ব্যবহার, ধর্ষণ ও অন্যান্য যৌন সহিংসতা এবং স্কুল ও হাসপাতালে হামলার জন্য তাদের নামও তালিকায় রাখা হয়। শিশু ও সশস্ত্র সংঘাতের জন্য গুতেরেসের দূত ভার্জিনিয়া গাম্বা সংকলিত এই প্রতিবেদনে ছয়টি গুরুতর সহিংসতার কথা বলা হয়েছে। সেগুলো হলো—হত্যা ও বিকলাঙ্গ করা, যৌন সহিংসতা, অপহরণ, শিশুদের নিয়োগ ও ব্যবহার, সাহায্য প্রবেশে অস্বীকার এবং স্কুল ও হাসপাতালে হামলা।

এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধ করা হলে রাশিয়ার জাতিসংঘ মিশন তাত্ক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি। তবে ২০২২ সালে ইউক্রেনে সর্বাত্মক হামলা চালানোর পর থেকেই বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে মস্কো।

এদিকে গাজায় লাশের সারি বাড়ছেই। প্রতিদিনই ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিরীহ ফিলিস্তিনিরা প্রাণ হারাচ্ছে। সেখানে অধিকাংশ হতাহতই নারী ও শিশু। ছোট ছোট শিশু জানেও না যে কেন তাদের ওপর এভাবে হামলা চালানো হচ্ছে। সেখানে ইসরায়েলি আগ্রাসন কবে শেষ হবে তা-ও অনিশ্চিত।

অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় প্রায় আট মাস ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে ৩৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। অন্যদিকে হামাস ও ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, তারা কাতার এবং মিশরের মধ্যস্থতাকারীদের কাছে জাতিসংঘ-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়া জমা দিয়েছে।

গাজায় অবস্থানরত ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এল্ডার বলেছেন, সেখানকার বাড়ি, হাসপাতাল, স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি, অর্থনীতি সবকিছুই ধ্বংস হয়ে গেছে। সেখানে এখনো বোমা ফেলা হচ্ছে। হিজবুল্লাহ এক ঘোষণায় জানিয়েছে যে, লেবাননে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় তাদের এক শীর্ষ কমান্ডার নিহত হয়েছেন। বেশ কিছু প্রতিবেদনে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে, আবু তালেব নামেও পরিচিত ছিলেন তালেব আবদুল্লাহ।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরই গাজায় পালটা আক্রমণ চালায় ফিলিস্তিন। গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৭ হাজার ১৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরো ৮৪ হাজার ৮৩২ জন।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ