শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ।। ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাজী নজরুলকে ‘জাতীয় কবি’ ঘোষণার গেজেট প্রকাশের প্রস্তাব অনুমোদন ৯ ডিসেম্বর ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ২৭ দেশের রাষ্ট্রদূত হেফাজতের পল্টন জোনের সভাপতি সালাহ উদ্দিন, সম্পাদক সিরাজী ও সাংগঠনিক সাখী ভারতের হিন্দুদের চেয়ে বাংলাদেশের হিন্দুরা আরামে আছে: মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব হাব নির্বাচন ২২ ফেব্রুয়ারি, প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিন প্যানেল! মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বিএনপির বিশাল কর্মী সমাবেশ বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আছে, নেই ভারতে: হেফাজত মহাসচিব ভোলায় হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত কুখ্যাত ডাকাত গ্রেফতার কাল সোহরাওয়ার্দী মুক্তমঞ্চে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্মেলন ভারত পায়ে পাড়া দিয়ে যুদ্ধ করতে চায়: ফয়জুল করীম

যুদ্ধবিরতিতে প্রিয়জনের লাশের খোঁজে গাজাবাসী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

গাজার খান ইউনিসের বাসিন্দা ইয়াসির আবু শামালেহ। ইসরায়েলের হিংস্র হামলায় বাবা-মা, ভাই-বোনসহ পরিবারের ২০ জনকে হারিয়ে এখন তিনি নিঃস্ব। দক্ষিণাঞ্চলে পালিয়ে প্রাণে বাঁচলেও ভুলেননি স্বজন হারানোর বেদনা। যুদ্ধবিরতির সু্যোগে তাই ফিরেছেন ভিটেমাটিতে। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে করছেন প্রিয়জনের সন্ধান।

শামালেহ বলেন, আমার ভাইদের মরদেহ এখানে চাপা পড়ে আছে। যতোই ধ্বংসস্তূপ সরানোর চেষ্টা করছি, কোনো লাভ হচ্ছে না। ভারী যন্ত্রপাতি প্রয়োজন। এটাই নিখোঁজদের সন্ধানের যোগ্য সময়। মরদেহ উদ্ধারের পর তাদের যথাযথভাবে দাফন করতে চাই। প্রিয়জনকে খুঁজে না পেলে অর্থহীন এই যুদ্ধবিরতি।

ইয়াসিরের মতো যুদ্ধবিরতিতে নিজ বাড়ি ফিরেছেন আল মাহদিও। বিধ্বস্ত কংক্রিটের স্তূপে খুঁজছেন বাবা আর ভাইপোর মরদেহ। গাজার বাসিন্দা আল মাহদি বলেন, আমার বাবা-ভাইপো ১৪ দিন আগে শহীদ হয়। এখানে ফিরে এসে ওদের মরদেহ পাই। এক প্রতিবেশীসহ চেনা-অচেনা অনেকের লাশ পেয়েছি। নিজ হাতে তাদের দাফন করলাম।

৬ দিনের বিরতির সুযোগে হন্যে হয়ে স্বজনদের সন্ধান চালাচ্ছেন নিপীড়িত ফিলিস্তিনিরা। প্রিয় স্বজনদের ধর্মীয় রীতি মোতাবেক দিতে চান শেষ বিদায়। সে কারণেই গত ২৪ ঘণ্টায় ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ১৬০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ভগ্নাবশেষে খুঁজলে মিলতে পারে নিখোঁজ বাকি সাড়ে ছয় হাজারের সন্ধান। কিন্তু অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি না থাকায় সম্ভব হচ্ছে না উদ্ধারকাজ।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের আকস্মিক আক্রমণে প্রাণহানি ঘটে প্রায় ১২শ’। ইসরায়েল তখন থেকে গাজা উপত্যকায় ১৫ হাজারের মতো ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। ইসরায়েলি হামলায় উপত্যকায় পুরোপুরি বিধ্বস্ত ৫০ হাজার বাড়িঘর। ক্ষতিগ্রস্ত আরও ৩ লাখের বেশি।

জেএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ