মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫ ।। ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ৬ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
‘জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করতে না পারা এই সরকারের বড় ব্যর্থতা’ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ড, ইরানে নতুন আইন ইসরাইলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের আহ্বান ইরানি সুন্নি আলেমদের মিশরে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের গৌরবময় অর্জন আফগানিস্তানে অনৈসলামিক কার্যকলাপের অভিযোগে গুঁড়িয়ে দেয়া হল মাজার দুঃখ প্রকাশ না করা পর্যন্ত শান্তি পাবে না: আ. লীগকে শফিকুল আলম জুলাই বিক্রি হয়ে গেছে : আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান আলিম পরীক্ষায় শেখ মুজিবকে নিয়ে প্রশ্ন, ছাত্রদের ক্ষোভ প্রকাশ হাসিনা ও তার দলের প্রতি আপনাদের মনোযোগ যথাযথ না থাকলে ইনসাফ হবে না মুজিববাদী সংবিধান ফেলে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে: আখতার হোসেন

সুইডেনে কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় বিক্ষোভ, গ্রেফতার ৩


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি : সংগৃহীত

সুইডেনে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন পোড়ানোর পর সহিংস দাঙ্গার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) ইরাকের একজন ইসলামবিরোধী অ্যাক্টিভিস্ট সালওয়ান মোমিকা মুসলিমদের পবিত্র গ্রন্থের একটি কপিতে আগুন দেওয়ার পর অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ে।

পুলিশ জানিয়েছে, তারা মালমো শহরে জন-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার দায়ে ১০ জনকে আটক করেছে। কোরআনে আগুন লাগানোর প্রতিক্রিয়ায় শতাধিক লোক জড়ো হয়। তারা বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

এর আগে মোমিকা রবিবার বিকেলে শহরের প্রধান চত্বর ভার্নহেমস্টরগেটে একটি কোরআনে আগুন ধরিয়ে দেন। তিনি ইতিপূর্বে একাধিক ইসলামবিরোধী বিক্ষোভে কোরআনের অবমাননা করেছেন। তার কর্মকাণ্ড মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে কূটনৈতিক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।

একদল বিক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারী কোরআন পোড়ানো বন্ধের চেষ্টা করলে তাদের ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। কর্মকর্তারা বলেছেন, তাদের দিকে পাথর নিক্ষেপ করা হয়েছিল। কিছু বিক্ষোভকারী পুলিশের গাড়ির দিকে বৈদ্যুতিক স্কুটারও নিক্ষেপ করেছিল।

মালমোর রোজেনগার্ডের আশপাশে বেশ কয়েকটি পুলিশের গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছিল। সেখানে বিশালসংখ্যক অভিবাসীর বাস। এর আগেও জায়গাটিতে সহিংস বিক্ষোভ হয়েছে।

মালমো পুলিশের এরিয়া কমান্ডার পেট্রা স্টেনকুলা স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমি বুঝতে পারছি, এ ধরনের একটি জনসমাগম তীব্র আবেগ জাগিয়ে তোলে। তবে আমরা রবিবার বিকেলে যে রকম বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতা দেখেছি তা সহ্য করতে পারি না। রোজেনগার্ডে আবারও সহিংসতা ও ভাঙচুর দেখতে পাওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক।’

প্রসঙ্গত, স্ক্যান্ডিনেভিয়ায় এ বছর অসংখ্যবার কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। জুন মাসে মোমিকা স্টকহোমের কেন্দ্রীয় মসজিদের বাইরে একটি কোরআনে আগুন লাগিয়ে দেন। দিনটি মুসলমানদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব ঈদুল আজহার প্রথম দিন ছিল।

সুইডিশ পুলিশ মোমিকাকে দেশের আইন অনুসারে বিক্ষোভের অনুমতি দিলেও পরে ঘটনাটি ঘৃণা ছড়ানোয় তদন্ত শুরু হয়। এর আগে জানুয়ারিতে অতি ডানপন্থী স্ট্রাম কুরস দলের রাজনীতিবিদ রাসমুস পালুদান স্টকহোমে তুর্কি দূতাবাসের বাইরে কোরআনের একটি কপি পুড়িয়ে দেন।

এ ছাড়া গত মাসে প্রতিবেশী ডেনমার্কেও বেশ কয়েকটি প্রকাশ্য কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। দেশটি বলেছে, তারা পবিত্র গ্রন্থের প্রকাশ্যে অবমাননা নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা করছে। সুইডেন কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে এ ধরনের প্রতিবাদ বাতিল করার আইনি উপায় অন্বেষণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।


সূত্র: বিবিসি

 


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ