বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট ২০২৫ ।। ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১৩ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিএনপি কোনো দক্ষিণপন্থি বা উত্তরপন্থি দল নয়: সালাহউদ্দিন আহমদ রমজানের আগে নির্বাচন দিয়ে সরকার জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করেছে : রিজভী নির্বাচনের আগে সংস্কার, বিচার ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে: খেলাফত মজলিস জিম্মিদের প্রাণহানির আশঙ্কায় গাজা দখলের বিরোধিতা করলেন ইসরায়েলের সেনাপ্রধান সবার আগে ডাকসু নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করল ইসলামী ছাত্র আন্দোলন কানাডায় ইসলামবিদ্বেষ ও ঘৃণাজনিত অপরাধ বেড়েছে ১৮০০ শতাংশ শ্রীমঙ্গলে স্বেচ্ছাসেবীদের সম্মাননা প্রদান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মানবাধিকার কমিশনের চুক্তি বাতিলের দাবিতে খুলনা জেলা প্রশাসকের কাছে জমিয়তের স্মারকলিপি কাশ্মির নিয়ে লেখা ২৫ বই নিষিদ্ধ করল ভারত টাঙ্গাইলে পিকআপ-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে প্রাণ গেল ৩ জনের

এআই’র দাপটে চাকরি হারাচ্ছে লাখো তরুণ


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

সারাবিশ্বে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির ব্যবহার। জটিল ও কঠিন কাজের সমাধান এআই এর আর্শীবাদে এখন হাতের নাগালে। এতে করে চাকরির বাজারে তৈরি হয়েছে বড় ধরনের পরিবর্তন, বিশেষ করে প্রযুক্তি খাতে। তবে সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। নতুন চাকরিপ্রার্থীদের জন্য পরিস্থিতি দিন দিন কঠিন হয়ে উঠছে।

গোল্ডম্যান শ্যাক্সের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে—যুক্তরাষ্ট্রে প্রযুক্তি খাতে কর্মসংস্থানের হার ক্রমাগত কমে যাচ্ছে দিন দিন।

২০২২ সালের নভেম্বর মাসে চ্যাটজিপিটির সূচনালগ্নে প্রযুক্তি খাতে কর্মসংস্থান ছিল সর্বোচ্চ। কিন্তু এরপর থেকেই চাকরি হারানোর হার বেড়েছে আশঙ্কাজনকভাবে। ২০২৪ সালের শুরু থেকে ২০-৩০ বছর বয়সী তরুণদের মধ্যে বেকারত্ব প্রায় ৩ শতাংশ বেড়েছে, যা জাতীয় গড় বেকারত্বের চারগুণেরও বেশি।

গোল্ডম্যান শ্যাক্স জানিয়েছে, এটি প্রমাণ করে যে প্রাথমিক স্তরের সাদা-কলার চাকরিতে এআই ধীরে ধীরে জায়গা দখল করে নিচ্ছে। 

বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ জ্যান হ্যাটজিয়াস মনে করেন, আগামী এক দশকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৬-৭ শতাংশ কর্মসংস্থান এআই দ্বারা প্রতিস্থাপিত হতে পারে। তবে তিনি আশ্বস্ত করেছেন, এআই’র কারণে বেকারত্বের হার সর্বোচ্চ ০ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়বে এবং অনেকে অন্য খাতে কাজের সুযোগ পাবেন।

এদিকে, বিষয়বস্তু তৈরি, গ্রাহক সেবা, প্রশাসন ও মানবসম্পদের মতো ক্ষেত্রে এআই’র ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। অনেক প্রতিষ্ঠান এসব বিভাগে অপ্রয়োজন মনে করে কর্মী ছাঁটাই করছে। অ্যানথ্রপিকের দারিও আমোদেই ও অ্যামাজনের অ্যান্ডি জ্যাসির মতো প্রযুক্তি জগতের শীর্ষ নেতারাও স্বীকার করেছেন যে, ভবিষ্যতে বহু সাদা-কলার পেশায় মানুষের জায়গা নেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।

তবে সবকিছু হারিয়ে যায়নি। এখনো সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য মিলিয়ন ডলারের বেতন প্যাকেজ দিচ্ছে।

লিঙ্কডইনের তথ্য অনুযায়ী, “এআই ইঞ্জিনিয়ার” এখন সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা চাকরির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। এরপরেই অবস্থান ডেটা সেন্টার টেকনিশিয়ান ও সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারের মতো পদের।

এমএম/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ