বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫ ।। ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১২ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আলেম-ওলামার ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা মৌলভীবাজারে ইসলামপন্থীদের ঐক্য ভাবনা শীর্ষক সেমিনার মজলিসের কেন্দ্রীয় ঘোষণা অনুযায়ী নেত্রকোনায় বিজয় র‍্যালী জুলাই ঘোষণাপত্র একপক্ষীয় রাজনৈতিক প্রবন্ধ: মাওলানা আজিজুল হক ভোলায় জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ইসলামী আন্দোলনের সমাবেশ ও গণমিছিল  ইন্তিফাদা বাংলাদেশের আয়োজনে গণজমায়েত অনুষ্ঠিত  সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল হবে: ডা. তাহের গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে উত্তরায় বিজয় র‍্যালি অনুষ্ঠিত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে কোরআন নিকেতন মাদ্রাসায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত গত এক বছরে অনেক সংকট ও সম্ভাবনার মধ্য দিয়ে পার করেছি : প্রধান উপদেষ্টা

পানির নিচে শব্দের চেয়েও দ্রুতগতিতে ছুটবে চীনের লেজারচালিত সাবমেরিন!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুহাম্মদ মিজানুর রহমান  

চীনা বিজ্ঞানীরা এমন এক যুগান্তকারী প্রযুক্তির উপর কাজ করছেন, যা ভবিষ্যতের নৌসেনা প্রযুক্তিতে বিপ্লব আনতে পারে। হারবিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল উদ্ভাবন করতে যাচ্ছে এমন একটি উচ্চ-প্রযুক্তির সাবমেরিন, যা পানির নিচে সুপারসনিক (শব্দের গতির চেয়েও বেশি) বেগে চলতে পারবে—তাও আবার লেজার প্রযুক্তির সাহায্যে!

প্রযুক্তির মূল ধারণা কী?

গবেষকরা এমন একটি “আন্ডারওয়াটার ফাইবার লেজার-ইনডিউসড প্লাজমা ডিটোনেশন ওয়েভ প্রপালশন” প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছেন, যেখানে সাবমেরিনের বাইরের অংশে বসানো হবে অতি সূক্ষ্ম অপটিক্যাল ফাইবার। এসব ফাইবার থেকে নির্গত উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন লেজার রশ্মি আশপাশের পানি তাৎক্ষণিকভাবে বাষ্পীভূত করে তৈরি করবে প্লাজমা। এই প্লাজমা তৈরি করবে বিস্ফোরণতুল্য ঠেলা (thrust), যা সাবমেরিনকে প্রচণ্ড বেগে সামনে ঠেলে নিয়ে যাবে।

এই প্রযুক্তির সম্ভাবনা কী?

গবেষকদের ভাষ্যমতে, এটি জেট ইঞ্জিনের মতো কাজ করবে, তবে পানির নিচে। যদি সফলভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, তাহলে এটি হবে প্রথম সাবমেরিন প্রপালশন সিস্টেম, যা পানির প্রতিরোধ শক্তিকে কার্যত উপেক্ষা করে এগিয়ে যেতে পারবে শব্দের চেয়েও বেশি গতিতে।

চ্যালেঞ্জ ও বাস্তবতা: এমন প্রযুক্তি বাস্তবে প্রয়োগ করতে হলে সমাধান করতে হবে অনেক জটিল পদার্থবিজ্ঞান ও তাপীয় সংকট। যেমন, প্লাজমা বিস্ফোরণের ফলে সাবমেরিনের কাঠামো কীভাবে অক্ষত থাকবে, কিংবা এতো উচ্চ তাপমাত্রা ও চাপ কীভাবে সহ্য করবে—এসব প্রশ্ন এখনো গবেষণার পর্যায়ে।

চীনা গবেষকদের এই লেজারচালিত সাবমেরিন প্রকল্প এখনো প্রাথমিক স্তরে থাকলেও, এটি সফল হলে সামরিক ও বিজ্ঞানজগতে এক অভূতপূর্ব যুগের সূচনা ঘটাবে। পানির নিচে দ্রুতগতির মিশনে এটি হয়ে উঠতে পারে ভবিষ্যতের গেমচেঞ্জার।  

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ