বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট ২০২৫ ।। ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১৩ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের আহ্বান ওসমান বিন হাদীর ফ্যাসিবাদ নির্মূল ও পূর্ণ সংস্কারের জন্য ঐক্যের আহ্বান: বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন বিএনপি কোনো দক্ষিণপন্থি বা উত্তরপন্থি দল নয়: সালাহউদ্দিন আহমদ রমজানের আগে নির্বাচন দিয়ে সরকার জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করেছে : রিজভী নির্বাচনের আগে সংস্কার, বিচার ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে: খেলাফত মজলিস জিম্মিদের প্রাণহানির আশঙ্কায় গাজা দখলের বিরোধিতা করলেন ইসরায়েলের সেনাপ্রধান সবার আগে ডাকসু নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করল ইসলামী ছাত্র আন্দোলন কানাডায় ইসলামবিদ্বেষ ও ঘৃণাজনিত অপরাধ বেড়েছে ১৮০০ শতাংশ শ্রীমঙ্গলে স্বেচ্ছাসেবীদের সম্মাননা প্রদান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মানবাধিকার কমিশনের চুক্তি বাতিলের দাবিতে খুলনা জেলা প্রশাসকের কাছে জমিয়তের স্মারকলিপি

ফোন ট্র্যাকিং বন্ধ করতে যা করবেন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

ফোন ট্র্যাকিং এর শিকার হলে সব গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যায়। এতে হুমকিতে পড়তে পারে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর নিরাপত্তার বিষয়টি। তবে সতর্ক থাকলে এ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

ট্র্যাকিং বুঝার উপায়-
নোটিফিকেশন প্যানেলে ডিভাইস লোকেটেড লেখা কোনো নোটিফিকেশন আসে কি না খেয়াল রাখুন। ফাইন্ড গুগল ছাড়া স্ট্যাটাস বারে লোকেশন ইনফরমেশন আইকন দেখা যায় কি না খেয়াল করুন। ট্র্যাকিং হচ্ছে কি না জানতে বিভিন্ন কোড ডায়াল করে দেখতে পারেন। যেগুলো ফোন ট্র্যাকিং করা হলে সম্ভাব্য কিছু প্রতিক্রিয়া দেখাবে। যেমন- *# ৬১# লিখে ডায়াল করলে ইনকামিং কলগুলো অন্য কোনো নম্বরে ফরওয়ার্ড করা হয় কি না, তা জানাবে। একইভাবে *# ৬২# ডায়াল করে দেখা যাবে, কোনো ডাইভারশন সফটওয়্যার বিভিন্ন কল ও টেক্সটকে আপনার কাছে পৌঁছাতে বাধা দেয় কি না। এরপরও যদি মনে করেন নিরাপত্তা হুমকির মুখে, তাহলে স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করুন। 

প্রতিরোধে করণীয়
অ্যান্ড্রয়েড ফোনে সব সময় লোকেশন বার বন্ধ করে রাখুন। ট্র্যাকিং থেকে বাঁচতে ফোনের জিপিএস অপশনটি বন্ধ করে রাখতে হবে। যদি আসে, তাহলে ফোনে লগইন করা জি-মেইলের পাসওয়ার্ড বদলে ফেলতে হবে। যদি ফাইন্ড গুগল ছাড়া স্ট্যাটাস বারে লোকেশন ইনফরমেশন আইকন দেখা যায়, তাহলে বুঝবেন আপনার মোবাইল ফোনের সেটে স্পাই অ্যাপ আছে। সমাধান পেতে, ফোনের ডেভেলপার অপশনে চলে যান। সেখান থেকে রানিং সার্ভিস অপশনে গিয়ে সন্দেহজনক কোনো অ্যাপ চোখে পড়লে সোজা আন-ইনস্টল করে দিন। 

ট্র্যাকিং হওয়ার বিষয় একবার নিশ্চিত হয়ে গেলে ফোনের সেটিংসে যান এবং ‘লোকেশন’ সেটিংস অফ করে দিন। এটি ফোনকে আপনার অবস্থান সংগ্রহ করা বন্ধ করতে সাহায্য করবে। চাইলে ডিভাইসে একটি ভিপিএন ব্যবহার করুন। এটি আপনার ইন্টারনেট ট্রাফিকটিকে এনক্রিপ্ট করে এবং আপনার অবস্থান গোপন রাখতে সাহায্য করবে। 

এ ছাড়া নিরাপদ থাকতে ফোনকে ট্র্যাকিং থেকে রক্ষা করার জন্য একটি লক স্ক্রিন ব্যবহার এবং শক্তিশালী পাসওয়ার্ড বা ফাংশনাল প্যাটার্ন দিয়ে সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা করতে হবে। ফোন রুট করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ, অনেক সময় রুটের মাধ্যমে ফোনের এক্সেস পেয়ে যায়, এতে ফোনের তথ্যাদি চুরি হতে পারে। অনাকাঙ্ক্ষিত মেসেজ, যেমন স্প্যাম বক্সের জমা করা মেসেজ খোলা থেকে বিরত থাকুন। 

কোনো লিংক থেকে সফটওয়্যার ডাউনলোড করা উচিত নয় এবং কোনো ধরনের সফটওয়্যার ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে গুগল প্লে স্টোর ব্যবহার করা ভালো। 

এনএ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ