শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৪ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বকেয়া বেতনের দাবিতে ভালুকায় শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ শিশু-কিশোর সংগঠন 'অংকুর' এর সীরাতুন্নবী সা. কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই - খুলনা ইসলামী আন্দোলন  কাতারের মধ্যস্থতায় আফগানিস্তানে কারাবন্দি ব্রিটিশ দম্পতির মুক্তি মাদকের বিরুদ্ধে মুরাদনগরে ওলামা পরিষদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পাকিস্তানে পৃথক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১১ ইসলামি বইমেলা পরিদর্শনে জাতীয় মসজিদের খতিব প্রাথমিকে গানের নয়, ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে: শায়খে চরমোনাই পীর সাহেব চরমোনাইয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ‘মিট আপ’ আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটি আবারও নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

‘প্রাথমিকে গানের শিক্ষক নয়, ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত বাতিল এবং ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আলেমদেরকে নিয়োগের একটি স্বতন্ত্র নিয়োগ প্রক্রিয়া তৈরি করার দাবি জানিয়েছে সর্বদলীয় ইসলামী শিক্ষা রক্ষা জাতীয় কমিটি।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়।

সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সমাজে দুর্নীতি, অন্যায়, অবিচার, মাদক ও নৈতিক অবক্ষয় দিন দিন বেড়েই চলছে। এর মূল কারণ ধর্মীয় শিক্ষার ঘাটতি। যদি প্রতিটি বিদ্যালয়ে একজন ধর্মীয় শিক্ষক থাকতেন, তবে শিক্ষার্থীরা সৎ, আল্লাহভীরু ও চরিত্রবান মানুষ হিসেবে গড়ে উঠত।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আব্দুস জলিল, জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, ড. খলিলুর রহমান মাদানী,  মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন মাওলানা এনামুল হক মুসা ও মাওলানা আবু জাফর কাসেমী প্রমুখ।

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, গানের শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে সরকার কী করতে চায়? তারা কি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সৎ নাগরিকের বদলে বিপথগামী করতে চায়? গানের শিক্ষক নাচ-গানের মাধ্যমে সাময়িক আনন্দ দিতে পারেন, কিন্তু চরিত্র গড়ে তুলতে পারেন না। অথচ ধর্মীয় শিক্ষক একজন শিক্ষার্থীকে জ্ঞানী করার পাশাপাশি তাকওয়াবান ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা ধার্মিক হয়ে গড়ে উঠলে তাদের হৃদয়ে তাকওয়া ও নৈতিকতা প্রতিষ্ঠিত হবে। এরপর অন্যান্য শিক্ষকরা তাদের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, সাহিত্য ও কলা শেখাতে পারবেন। এভাবেই সৎ ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, আইনজীবী, সাংবাদিক ও প্রকৃত সুনাগরিক তৈরি করা সম্ভব।

সংবাদ সম্মেলনে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের জন্য স্বতন্ত্র প্রক্রিয়া চালু, কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস ও আলিয়া মাদরাসার ফাজিল পাশকারীদের নিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০২৫ সংশোধনের দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের জন্য তাদের নিজ নিজ ধর্ম অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা রাখার আহ্বান জানানো হয়।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ