বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় মজলিসে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক সংকট থেকে উত্তরণের জন্য ইসলামি ও জাতীয়তাবাদী শক্তির বৃহত্তর ঐক্যের গুরুত্ব জোরদার করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদ নির্মূল ও পূর্ণ সংস্কার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঐক্যের মধ্য দিয়ে জাতিকে সামনে এগিয়ে নিতে হবে বলেও ঘোষণা করা হয়।
বৈঠকে প্রধান আমীরে শরীয়ত আল্লামা আবু জাফর কাশেমী বলেন, “ফ্যাসিস্ট শাসকের পতনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গত জুলাই বিপ্লবের ঐতিহাসিক ঘোষণা পত্র এবং আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষণায় দেশবাসী গভীর হতাশা থেকে মুক্তি পেয়েছে। বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন নির্বাচনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত।”
তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, “দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী গোষ্ঠীকে চিরতরে নির্মূল করতে হবে এবং ইনকিলাব জিন্দাবাদ, মহান জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের চেতনা টেকসই করতে ইসলামি ও জাতীয়তাবাদী শক্তির বৃহত্তর ঐক্যের বিকল্প নেই।”
সভায় আরও বলা হয়, “ফ্যাসিবাদের বিষ দাঁত উপড়ে ফেলতে বৃহত্তর জাতীয় সরকারের বিকল্প নেই।” অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে ঘাপটি মেরে থাকা ফ্যাসিবাদের দোসরদের খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
অন্যদিকে, নেতৃবৃন্দ ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে ওলামায়ে কেরামের অবিরাম সংগ্রামকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানান।
বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে, পুরানা পল্টন, ঢাকায়। সভাপতিত্ব করেন আমীরে শরীয়ত আল্লামা আবু জাফর কাশেমী। অন্যান্য উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর আলহাজ্ব মুহাম্মদ আজম খান, মাওলানা আব্দুল কাদের কাশেমী, শায়খুল হাদীস আল্লামা আবুল কাসেম কাশেমী, আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম বাবুল, মহাসচিব মুফতী ফখরুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ হোসাইন আকন্দ, মাওলানা জুনায়েদ আহমদ কাটখালী, মুফতি আসাদুল্লাহ জাকির, ডাক্তার মুহাম্মদ খালেদ, সহকারী মহাসচিব হাফেজ জানে আলম, মাওলানা হাবিবুল্লাহ খান, মাওলানা মুহাম্মদুল্লাহ, এডভোকেট আব্দুল মতিন, জনার আরশাদ আলম ও মাওলানা ওমর ফারুক প্রমুখ।
সভায় এডভোকেট আব্দুল মতিনকে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আইন ও বিচার সম্পাদক হিসেবে পদায়ন করা হয়।
এসএকে/