সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৩০ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
সাহারানপুরের মাওলানা আকিল মাজাহিরির ইন্তেকালে বেফাকের শোক ও দোয়া স্পেন জমিয়তের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত ভারতকে ১৯৬৫ সালের মতো জবাব দেবে পাকিস্তান: মাওলানা ফজলুর রহমান ‘৩ মে’র মহাসমাবেশ হবে তৌহিদি জনতার গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক’ ৩ মের মহাসমাবেশ সফল করতে হেফাজত আমিরের আহ্বান হজ অ্যাপ ‘লাব্বাইক’ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ইসলামবিরোধী কবিতা লিখে নির্বাসিত, ৫০ বছরেও ফিরতে পারেননি দেশে তিন পুরুষের জমিয়ত উত্তরসূরী মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী আজ হজ ফ্লাইট উদ্বোধন করবেন ধর্ম উপদেষ্টা হেফাজতের খুলনা মহানগরী সভাপতি মাওলানা সাখাওয়াত, সম্পাদক গোলামুর রহমান

যুদ্ধের মাঝে যৌথ অস্ত্র উৎপাদন: ভারত-ইসরায়েল সামরিক সম্পর্কের বিবর্তন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

শোয়াইব আস-সফাদী

ভারত ১৯৫০ সালে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিলেও কয়েক দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের স্বার্থ ও মুক্তির পক্ষে দৃঢ় অবস্থান বজায় রেখেছিল। তবে ১৯৯২ সালে নয়াদিল্লি ও তেল আবিবের মধ্যে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর ধীরে ধীরে এই সম্পর্ক উষ্ণ হতে শুরু করে। বিশেষ করে, ২০১৪ সালে হিন্দুত্ববাদী নেতা নরেন্দ্র মোদীর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এবং তার ডানপন্থী প্রতিপক্ষ বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সামরিক ও প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা দ্রুত বৃদ্ধি পায়।

২০১৭ সালে, নরেন্দ্র মোদী প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েল সফর করেন। যা দুই দেশের মধ্যে সামরিক ও কৌশলগত সম্পর্কের নতুন যুগের সূচনা করে। পরের বছর, বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ভারত সফর করেন, যা এই সম্পর্কের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। মোদী প্রকাশ্যে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কোম্পানিগুলোকে ভারতে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান। এর ফলে ভারত এখন ইসরায়েলের বৃহত্তম অস্ত্র আমদানিকারী দেশে পরিণত হয়েছে।

২০১৫-১৬ সালে, ভারত জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে গাজার ২০১৪ সালের যুদ্ধের সময় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ তদন্তের জন্য ফিলিস্তিন-সমর্থিত একটি প্রস্তাবকে সমর্থন করা থেকে বিরত ছিল। তবে ভারত এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনের জন্য "দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান" সমর্থন করে যাচ্ছে। কিন্তু ২০২১ সালে গাজার যুদ্ধের সময় ভারত তার কূটনৈতিক অবস্থান পরিবর্তন করে এবং ইসরায়েলের প্রতি প্রকাশ্য সমর্থন প্রদান করে।

যৌথ অস্ত্র উৎপাদন ও সামরিক সহযোগিতা

সামরিক ও প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ভারত ও ইসরায়েলের সম্পর্ক এখন যৌথ অস্ত্র উৎপাদনের পর্যায়ে পৌঁছেছে। ২০১৭ সাল থেকে ভারত ইসরায়েলি অস্ত্র উৎপাদনের কৌশলগত অংশীদার হয়ে উঠেছে। ভারতের প্রতিরক্ষা খাতে ইসরায়েলি অস্ত্র প্রযুক্তির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, যা ২০২৩-২০২৫ সালের গাজা যুদ্ধে ব্যবহৃত হয়।

বিগত কয়েক বছরে, ভারত ও ইসরায়েল যৌথ সামরিক মহড়া পরিচালনা করেছে, সামরিক ও পুলিশ প্রশিক্ষণ এবং যুদ্ধ সংক্রান্ত কৌশলগত অনুশীলন করেছে। সামরিক সম্পর্কের এই প্রসার সামরিক সরঞ্জামের বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে।

সাইবার নিরাপত্তা ও ভূরাজনৈতিক প্রভাব

২০১৯ সালে ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের সাংবিধানিক স্বায়ত্তশাসন বাতিল করলে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এক ভারতীয় কূটনীতিক ইসরায়েলি মডেলের অনুসরণ করে অধিকৃত অঞ্চলে বসতি সম্প্রসারণের পরামর্শ দেন।

২০২০ সালে, ভারত ও ইসরায়েল সাইবার নিরাপত্তা সহযোগিতা সম্প্রসারণের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। ইসরায়েলের জাতীয় সাইবার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ইগাল উন্না বলেছিলেন, “ভারতের সাথে সহযোগিতা আরও গভীর করা বিশ্বব্যাপী সাইবার হুমকি মোকাবেলায় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”

ভারত ও ইসরায়েলের মধ্যে সামরিক সম্পর্ক ধীরে ধীরে দৃঢ় ভিত্তি লাভ করেছে। ১৯৯২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর দুই দেশের মধ্যে সামরিক চুক্তির মাত্রা বাড়তে থাকে, যদিও ১৯৯২-এর আগেও গোপনে সহযোগিতা বিদ্যমান ছিল। ১৯৬২ সালে চীন এবং ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসরায়েল ভারতকে অস্ত্র সরবরাহ করেছিল। ১৯৭০-এর দশক নাগাদ ভারতীয় সামরিক বাহিনী ইসরায়েলি প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে।
প্রারম্ভিক সামরিক সহযোগিতা

 ১৯৯০-এর দশকের গোড়ার দিকে সামরিক নেতাদের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হয়। ১৯৯৫ সালে ভারত তেল আবিবে প্রথম সামরিক অ্যাটাশে নিয়োগ করে। ১৯৯৯ সালে, পাকিস্তানের সাথে সংঘর্ষে ভারতকে জরুরি সামরিক সহায়তা প্রদান করে ইসরায়েল, যা উভয় দেশের মধ্যে সামরিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করে।

সাম্প্রতিক প্রতিরক্ষা চুক্তি ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা 

ইসরায়েল ভারতকে উন্নত সামরিক প্রযুক্তি সরবরাহের অন্যতম প্রধান উৎস হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে বিমান প্রতিরক্ষা, যুদ্ধবিমান, মনুষ্যবিহীন বিমান (UAV), নজরদারি ও ট্র্যাকিং সিস্টেম, স্মার্ট ফায়ার সিস্টেম এবং সাইবার প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার হয়েছে। গত এক দশকে, ভারত-ইসরায়েল সহযোগিতা আরও উন্নত ও নির্ভুল অস্ত্র ও প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির ওপর গুরুত্ব দিয়েছে।

২০২৩ সালে ভারত-ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাণিজ্যের পরিমাণ ১.৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে, যা প্রতি বছর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারত বর্তমানে ইসরায়েলি অস্ত্রের অন্যতম বৃহৎ ক্রেতা, যা ইসরায়েলের মোট অস্ত্র রপ্তানির প্রায় ৫০%। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (SIPRI)-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে ভারতের সামরিক ব্যয় ৭৬.৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল, যা বিশ্বে তৃতীয় সর্বোচ্চ।

ভারত কেন ইসরায়েলি অস্ত্র পছন্দ করে? 

১৯৯৭ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে, ইসরায়েলের মোট অস্ত্র রপ্তানির ১৫% ভারতে গিয়েছিল। ২০০০ সালের মাঝামাঝি সময়ে এই হার ২৭%-এ উন্নীত হয়। ২০০০ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে ভারত ইসরায়েলি অস্ত্রের জন্য প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে। নরেন্দ্র মোদির শাসনামলে (২০১৫-২০১৯) ইসরায়েল থেকে ভারতে অস্ত্রের চালান ১৭৫% বৃদ্ধি পায়।

ভারত উন্নত প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির জন্য ইসরায়েলের সঙ্গে যৌথ গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি উন্নয়নের জন্য একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ইসরায়েল অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ (IAI) এবং অন্যান্য বড় ইসরায়েলি সামরিক কোম্পানি ভারতীয় স্টার্টআপ ও উচ্চ-প্রযুক্তি সংস্থাগুলিতে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে।

ভারতে ইসরায়েলি বিনিয়োগ 

২০২৫ সালের জানুয়ারিতে, গাজায় সংঘাত চলাকালীন, IAI ভারতীয় স্টার্টআপগুলিকে সমর্থনের ঘোষণা দেয়, যা ইসরায়েলি পণ্যের জন্য ভারতের বাজার প্রসারণের একটি অংশ। ২০২৪ সালের নভেম্বরে, IAI তাদের NeuSPHERE ইনোভেশন অ্যাক্সিলারেটর প্রোগ্রামের মাধ্যমে ভারতীয় স্টার্টআপগুলিকে বিনিয়োগের ঘোষণা দেয়। এই কর্মসূচির লক্ষ্য বিগ ডেটা, সিগন্যাল ও ইমেজ প্রসেসিং, উন্নত নেভিগেশন সিস্টেম, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, স্বায়ত্তশাসিত প্রযুক্তি, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এবং মানব-মেশিন ইন্টারফেস উন্নয়ন করা।

ইসরায়েলি কোম্পানি IAI সম্প্রতি হায়দ্রাবাদে একটি সামরিক শিল্প কেন্দ্র চালু করেছে, যেখানে উন্নত রাডার প্রযুক্তি উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এছাড়া, ভারত ও ইসরায়েলের মধ্যে বহু-বিলিয়ন ডলারের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা চুক্তি কার্যকর রয়েছে, যার অধীনে MR-SAM (Medium-Range Surface-to-Air Missile) সিস্টেম নির্মাণ করা হচ্ছে।

ভারত ও ইসরায়েলের সামরিক সম্পর্ক কেবল অস্ত্র আমদানির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং যৌথ প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও প্রতিরক্ষা খাতে দীর্ঘমেয়াদী কৌশলগত অংশীদারিত্বের দিকেও এগিয়ে যাচ্ছে।

প্রথম বেসরকারি যৌথ অস্ত্র কারখানা

২০১৭ সালে, ইসরায়েল উইপন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ও ভারতীয় নির্মাণ কোম্পানি পুঞ্জ লয়েড যৌথভাবে মালানপুরে "পুঞ্জ লয়েড রক্ষা সিস্টেমস (PLR Systems)" নামে প্রথম বেসরকারি ছোট অস্ত্র কারখানা প্রতিষ্ঠা করে। এটি আদানি গ্রুপ ও এসকে গ্রুপের সহযোগিতায় পরিচালিত হয়। এই কারখানায় ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং বিশেষ বাহিনীর জন্য টাভোর অ্যাসল্ট রাইফেল, এক্স৯৫ অ্যাসল্ট রাইফেল, গ্যালিল স্নাইপার রাইফেল, নেগেভ লাইট মেশিনগান ও উজি সাবমেশিনগান তৈরি করা হয়।

ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন ও অন্যান্য প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি

একই বছরে, ভারতের কল্যাণী স্ট্র্যাটেজিক সিস্টেমস লিমিটেড ও ইসরায়েলের রাফায়েল অ্যাডভান্সড সিস্টেমস যৌথভাবে "কল্যাণী রাফায়েল অ্যাডভান্সড সিস্টেমস লিমিটেড (KRAS)" গঠন করে এবং ভারতে প্রথমবারের মতো বেসরকারিভাবে স্পাইক অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল (ATGM) উৎপাদন শুরু করে।

২০১৯ সালে, KRAS ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য বারাক-৮ দূরপাল্লার ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির জন্য ১০০ মিলিয়ন ডলারের একটি অর্ডার পায়। রাফায়েলের অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বেনি ইয়ংম্যান বলেছিলেন, “আমরা গর্বিত যে KRAS শুধু ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অংশ নয়, বরং ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের সাথেও জড়িত।”

যৌথ ড্রোন উৎপাদন

২০২১ সালের শেষের দিকে, স্কাইস্ট্রাইকার ড্রোন উৎপাদনের জন্য ইসরায়েলের এলবিট সিস্টেমস ও ভারতের আদানির মালিকানাধীন আলফা ডিজাইন টেকনোলজিস যৌথ উদ্যোগ গঠন করে। এই ড্রোন দক্ষিণ ভারতের বেঙ্গালুরুতে নির্মিত হয়।

গাজা যুদ্ধ পরবর্তী ভারত-ইসরায়েল সামরিক সহযোগিতা

আরবেল এআই-ভিত্তিক অস্ত্র ব্যবস্থা

২০২৪ সালের নভেম্বরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী গাজায় "আরবেল" নামের একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নির্ভর অস্ত্র ব্যবস্থা ব্যবহার করছে, যা একটি ভারতীয় প্রতিরক্ষা সংস্থার সহযোগিতায় তৈরি হয়েছে। এই প্রযুক্তি মেশিনগান ও অ্যাসল্ট রাইফেলকে কম্পিউটারাইজড কিলিং মেশিনে পরিণত করতে সক্ষম।

ভারতীয় সামরিক সহায়তা

গাজার যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ভারত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে, ইসরায়েলকে সামরিক ও লজিস্টিক সহায়তা প্রদান করেছে। এর মধ্যে রয়েছে:
•    জানুয়ারি ২০২৪: ভারত সরকার কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি কর্মীর কাজের অনুমতি বাতিল করার পর তাদের স্থলে ভারতীয় শ্রমিক পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
•    ফেব্রুয়ারি ২০২৪: ২০টি ভারতীয় তৈরি হার্মিস ৯০০ যুদ্ধ ড্রোন ইসরায়েলে সরবরাহ করা হয়।
•    এপ্রিল ২০২৪: একটি ভারতীয় জাহাজে রকেট ইঞ্জিন, বিস্ফোরক ও কামানের জ্বালানি ইসরায়েলের আশদোদ বন্দরের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়।
•    মে ২০২৪: স্পেন ভারত থেকে ইসরায়েলে অস্ত্র পরিবহণকারী একটি জাহাজের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে, কারণ এতে প্রচুর রকেট ইঞ্জিন, বিস্ফোরক পদার্থ ও বন্দুকের গোলাবারুদ ছিল।

সুপ্রিম কোর্টের রায়

২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে, ভারতের সুপ্রিম কোর্ট গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধাপরাধে ভারতের জড়িত থাকার অভিযোগ খারিজ করে দেয়। আদালত জানায়, ভারত সরকার কোনো দেশে সামরিক রপ্তানি বন্ধ করবে কিনা, সেটি ফেডারেল সরকারের এখতিয়ারে পড়ে এবং এটি আদালতের সিদ্ধান্তের বিষয় নয়।

ভারত ও ইসরায়েলের সামরিক সম্পর্ক সময়ের সাথে আরও গভীর হয়েছে। দুই দেশ যৌথভাবে অস্ত্র উৎপাদন, প্রযুক্তি উন্নয়ন এবং প্রতিরক্ষা খাতে দীর্ঘমেয়াদী কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়ে তুলেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এআই-ভিত্তিক অস্ত্র, ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনে সহযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ