বৈষম্য, দুর্নীতি ও স্বৈরাচারমুক্ত ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষে বুধবার (১৬ জুলাই) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এই আহ্বান জানান।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “জুলাই শহীদরা স্বপ্ন দেখেছিলেন এক অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্রের, যেখানে থাকবে না কোনো বৈষম্য বা স্বৈরাচার। সেই আত্মত্যাগকে অর্থবহ করতে এখনই সময় ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাওয়ার।”
তিনি জানান, এই প্রথমবারের মতো সরকারিভাবে পালন করা হচ্ছে ‘জুলাই শহীদ দিবস’। এ উপলক্ষে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত এবং মসজিদ-মন্দির-গির্জা-প্যাগোডাসহ সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে শহীদদের জন্য প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
বাণীতে ইউনূস স্মরণ করেন ২০২৪ সালের ১৬ জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থান, যেদিন ছাত্র-শ্রমিক-জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে চট্টগ্রাম, রংপুর ও ঢাকায় ছয়জন শহীদ হন। এরপর দেশের রাজপথে নেমে আসে লাখো মানুষ। আন্দোলনের তীব্রতায় শেষ পর্যন্ত স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটে।
শহীদদের স্মরণে ও তাদের পরিবারের জন্য গঠিত হয়েছে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ ও ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর’। প্রতিটি শহীদ পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে এককালীন ৩০ লাখ টাকা এবং মাসিক ভাতা। একইসঙ্গে আহতদের পুনর্বাসনেও নেওয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ।
প্রধান উপদেষ্টা শেষ করেন এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে:
“জুলাইয়ের চেতনাকে বুকে ধারণ করে, নতুন বাংলাদেশের পথে একসঙ্গে এগিয়ে যাব—এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।”
এসএকে/