পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত শুধু একটি ইবাদত নয়, বরং এটি এমন একটি বরকতময় আমল, যা দুনিয়া ও আখিরাতে অফুরন্ত কল্যাণ এনে দেয়। কোরআনের প্রতিটি আয়াত, প্রতিটি শব্দ মানুষের জীবনে হেদায়েত, রহমত ও সওয়াবের দরজা খুলে দেয়।
আল্লাহ তায়ালা কোরআন তিলাওয়াতকারীদের বিশেষভাবে প্রশংসা করেছেন। তেমনি কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পাশাপাশি দুনিয়াবি সুখ-শান্তিরও বার্তা পাওয়া যায়। এমনকি কেউ যদি স্বপ্নেও নিজেকে কোরআন তিলাওয়াত করতে দেখেন, সেটাও আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ ও সুসংবাদ বলে বিবেচিত হয়।
কোনো ব্যক্তি নিজেকে স্বপ্নে কোরআন তিলাওয়াত করতে দেখাও ভালো কিছুর ঈঙ্গিত দেয়। কেউ নিজেকে স্বপ্নে কোরআন তিলাওয়াত করতে দেখার ব্যাখ্যা হলো— আল্লাহ তায়ালা তার মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন এবং তার জীবনে খুশি নেমে আসবে
আর কেউ যদি স্বপ্নে কোরআন মুখস্ত (হিফজ) করতে দেখে তাহলে তার ব্যাখ্যা হবে, সে কারো সঙ্গে আদালতে মুখোমুখি হবে এবং তার দাবিই সঠিক প্রমাণিত হবে এবং সে আমানতদার প্রমাণিত হবে। তিনি নরম হৃদয়ের অধিকারী মুমিন হিসেবে বিবেচিত হবেন এবং সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজ থেকে বাধা দেবেন।
আর যদি কেউ স্বপ্নে পবিত্র কোরআন খতম করতে দেখে তাহলে তার কোন বড় আশা পূরণ হবে। আল্লাহ তায়ালা তাকে অনেক সওয়াব দান করবেন।
কোনো গায়রে হাফেজ (যে কোরআনের হাফেজ নয়) যদি স্বপ্নে দেখে যে, সে কোরআন শরিফ মুখস্ত করে ফেলেছে তাহলে এর ব্যাখা হলো, তাকে তার পরিস্থিতির অনুযায়ী শক্তি বা মর্যাদা দান করা হবে।
যদি কেউ স্বপ্নে নিজেকে কোরআন শরিফ পড়া অবস্থায় দেখে, কিন্তু তার মনে নেই যে সে ঠিক কোন অংশ থেকে পড়েছে বা কোন আয়াত কোন সূরা পড়েছে। তাহলে সে যদি অসুস্থ থাকে সুস্থ হয়ে যাবে। আর যদি সে ব্যবসায়ী হয় তাহলে তো আর কোনো বড় মুনাফা হবে।
আর যদি কেউ সপ্নে দেখে যে, সে কোরআন শরিফ শ্রবণ করছে তাহলে তার শক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং তার সব কাজের ফলাফল সুন্দর হবে এবং সে ষড়যন্ত্রকারীর ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা পাবে।
যদি কেউ স্বপ্নে দেখে যে, সে কোরআন শরিফ তেলাওয়াত করছে আর লোকেরা তার তেলাওয়াত শুনছে, তাহলে সমাজের মানুষেরা তার আদেশ মেনে চলবে।
এনএইচ/