শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৭ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মসজিদে নববীর ইমামের পেছনে নামাজ পড়তে মালদ্বীপে মুসল্লিদের ঢল আ.লীগ নিষিদ্ধের কথা বললে সরকার পশ্চিমাদের দোহাই দেয় : সারজিস নারী সংস্কার কমিশন বাতিল না করলে আন্দোলনের দাবানল জ্বলবে: হেফাজত আটপাড়ায় হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বৃদ্ধির সুপারিশ মজলিসে আমেলার বৈঠকে জমিয়ত, রাত পোহালেই কাউন্সিল কাল ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের গণমিছিল, প্রস্তুতি সম্পন্ন ‘রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক সংস্কার না হলে আবারও ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দেবে’ মাদরাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) সেবা ফাউন্ডেশনের কিতাব বিতরণ "পাশ্চাত্যের শক্তি নয় আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে এদেশের কোরআনপ্রেমী জনতা”

যে সময়ে দোয়া বেশি কবুল হয়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বিপদ-আপদ থেকে মুক্তি, দুশ্চিন্তা কিংবা কোনোকিছু চেয়ে বরাবরই মুমিনরা সৃষ্টিকর্তার দরবারে দু’হাত তুলে ধরেন। মহান আল্লাহ তা’আলাও খোদ ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু। যখন কোনো বান্দা তার নিকট দুই হাত তুলে প্রার্থনা করে, তখন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাকে শূন্যহাতে ফিরিয়ে দেন না।
 
পবিত্র কুরআনে মহান রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেছেন, ‘প্রার্থনাকারী যখন আমাকে ডাকে, তখন আমি তার ডাকে সাড়া দিই। সুতরাং তারাও যেন আমার ডাকে সাড়া দেয় ও ঈমান আনয়ন করে। আশা করা যায়, তারা সফলকাম হবে।’ (সূরা বাকারা, আয়াত: ১৮৬)।
 
অপর আয়াতে এসেছে, ‘আর যারা আমার পথে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালায় তাদের আমি অবশ্যই অবশ্যই আমার পথে পরিচালিত করবো। অবশ্যই আল্লাহ সৎকর্মপরায়ণদের সঙ্গে আছেন।’ (সূরা আনকাবুত (২৯), আয়াত: ৬৩)
 
এ ক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহ (সা.)-ও বিভিন্ন সময়ে আল্লাহর কাছে পানাহ চেয়ে দোয়া করতেন। উম্মতদেরও মহান রবের নিকট দোয়া করার পদ্ধতি জানিয়েছেন তিনি। যা বিভিন্ন সময়ে সাহাবায়ে-কেরামদের মাধ্যমে বর্ণিত নানা হাদিসে এসেছে। এরমধ্যে দোয়া কবুলের উত্তম সময় শেষরাতের দিকে।
 
আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মহামহিম আল্লাহ তায়ালা প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকাকালে নিকটবর্তী আসমানে (প্রথম আসমান) অবতরণ করে ঘোষণা করতে থাকেন- কে আছে এমন যে আমাকে ডাকবে? আমি তার ডাকে সাড়া দেবো। কে আছ এমন যে আমার কাছে চাইবে? আমি তাকে তা দেবো। কে আছ এমন আমার কাছে ক্ষমা চাইবে? আমি তাকে ক্ষমা করবো। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১০৭৯)
 
এছাড়াও ফরজ নামাজের পর করা দোয়াও বেশি কবুল হয়। আবু উমামা (রা.) আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, একবার রাসুল (সা.) কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল- ইয়া রাসুলাল্লাহ! কোন দোয়া বেশি কবুল হয়? জবাবে তিনি (রাসুল সা.) বলেন, শেষ রাতের মাঝে আর ফরজ সালাতের পরের দোয়া। (তিরমিজী, হাদিস: ৩৪৯৯)

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ