শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৭ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মসজিদে নববীর ইমামের পেছনে নামাজ পড়তে মালদ্বীপে মুসল্লিদের ঢল আ.লীগ নিষিদ্ধের কথা বললে সরকার পশ্চিমাদের দোহাই দেয় : সারজিস নারী সংস্কার কমিশন বাতিল না করলে আন্দোলনের দাবানল জ্বলবে: হেফাজত আটপাড়ায় হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বৃদ্ধির সুপারিশ মজলিসে আমেলার বৈঠকে জমিয়ত, রাত পোহালেই কাউন্সিল কাল ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের গণমিছিল, প্রস্তুতি সম্পন্ন ‘রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক সংস্কার না হলে আবারও ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দেবে’ মাদরাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) সেবা ফাউন্ডেশনের কিতাব বিতরণ "পাশ্চাত্যের শক্তি নয় আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে এদেশের কোরআনপ্রেমী জনতা”

বাহানা তৈরি করে হজে বিলম্ব করা যাবে না: মুফতি আবদুল মালেক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে গতকাল শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) জুমাপূর্ব আলোচনায় খতিব মুফতি আবদুল মালেক হজের গুরুত্বের ওপর আলোচনা করেছেন। কারও ওপর হজ ফরজ হলে তাতে বিলম্ব না করার তাগিদ দিয়েছেন তিনি।

মুফতি মুহাম্মদ আবদুল মালেক বয়ানে বলেন, আল্লাহ পাক ঈমানদারদের হেদায়েত ও বরকতের জন্য সর্বপ্রথম পবিত্র বায়তুল্লাহ শরিফ নির্মাণ করেছেন। এই পবিত্র ঘরকে অস্বীকার করলে ঈমানই থাকবে না। হজ যাদের ওপর ফরজ করা হয়েছে তাদের দ্রুত হজ পালন করতে হবে। বাহানা তৈরি করে হজে যাওয়াকে বিলম্ব করা যাবে না। যাদের সামর্থ্য আছে তাদের দ্রুত হজ পালন করতে হবে। নেক কাজে বিলম্ব করা যাবে না। আল্লাহ হজকে জীবনে একবার ফরজ করেছেন। হজ পালনের ক্ষেত্রে বানানো ওজর গ্রহণযোগ্য হবে না। ছেলেমেয়েদের বিয়ের অজুহাতে হজ আদায় থেকে বিরত থাকা যাবে না।

খতিব বলেন, কেউ কেউ বলেন, আরেকটু বয়স হোক এখন হজ করলে হজ ধরে রাখতে পারব না। আবার কেউ কেউ বলেন, এখনো দাড়ি রাখিনি, পরে হজ করব। দাড়ি না রাখাটা গুনাহের কাজ। সকল নবী-রাসুল ও সাহাবায়ে কেরাম দাড়ি রেখেছেন। আল্লাহর নেক বান্দাদের ছুরত ধরতে হবে। হজের আগেই দাড়ি রাখতে হবে। রাসুল (সা.) বলেছেন, আমার রব বলেছেন, দাড়ি লম্বা রাখতে এবং মুছ খাটো করতে।

হজের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, যার সামর্থ্য আছে অথচ হজ করল না সে ইহুদি হয়ে মারা যাক বা নাসারা হয়ে মারা যাক আমার কিছু যায়-আসে না। খতিব বলেন, শরিয়তের কোনো বিধানকেই কঠিন করা হয়নি। হজ আদায়ের বিষয়টি একটি পরীক্ষা। আল্লাহ যাদের তাওফিক দিয়েছেন তারা হজ আদায় করবেন। আর যাদের তাওফিক নেই তারা হজের জন্য সবর করবেন।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ