নামাজ ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরজ বিধান। প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্ক নারী-পুরুষের উপর সময় মত নামাজ পড়া ফরজ। আর পুরুষদের জন্য জামাতের সাথে নামাজ পড়া ওয়াজিব। পুরুষরা মসজিদে গিয়ে জামাতের সাথে নামাজ আদায় করবেন এটাই শরীয়তের নির্দেশনা।
মসজিদে জামাতের সময় নির্ধারণ করা এটা মুসল্লিদের সুবিধার জন্য। যে এলাকার অধিকাংশ মানুষের জন্য যখন জামাতে উপস্থিত হওয়া সহজ হয়, তখনই তাদের মসজিদের জামাতের সময় নির্ধারণ করা উচিত। কেননা, এতে জামাতে মুসল্লী বেশি হবে। যদিও আউয়াল ওয়াক্তে নামাজ পড়া মুস্তাহাব।
পক্ষান্তরে যদি সকল মসজিদে জামাতের একই সময় নির্ধারণ করা হয় (জুমার নামাজ হোক কিংবা অন্য যেকোনো নামাজ) তাহলে বহু মুসল্লি জামাতে নামাজ পড়ার সুযোগ পাবে না।
বিশেষ করে মার্কেট এবং বাজারের মসজিদ সমূহে। সেখানের মসজিদ সমূহে অবশ্যই ১৫ থেকে ২০ মিনিট ব্যবধানে নামাজের জামাত হওয়া উচিত। তাহলে বাজার ও মার্কেটের সকলেই পালাক্রমে জামাতের সাথে নামাজ পড়তে পারবে।
আবার অনেক সময় বাসা বাড়িতে কাজকর্ম করতে গিয়ে জামাতের সময় পেরিয়ে যায় তখন অন্য মসজিদে ১৫ মিনিট পর জামাত হলে তাতে শরিক হওয়া যায়। এভাবে প্রতিটি মহল্লার মসজিদ সমূহে সময়ের ব্যবধান করে নামাজের জামাতের সময় নির্ধারণ করা ভালো মনে হয়। যেহেতু মানুষ স্বেচ্ছায় আল্লাহর মহব্বতে নামাজ পড়ে, সেহেতু এরকম সুবিধা থাকা উচিত। তবে বাস, রেল এবং বিমানবন্দরসহ সকল স্টেশন সমূহে একই সময়ে জামাত হতে পারে।
একদল মানুষ জামাতের সাথে নামাজ পড়বে আর বাকিরা একাকী অথবা ছোট ছোট জামাত করে নামাজ পড়া অনুচিত। আর জুমার নামাজ তো পড়তেই পারবে না। কারণ জুমার নামাজের জন্য তো জামাত অবশ্যক। তাহলে বুঝা যায় এতে লাভের তুলনায় ক্ষতিই বেশি হবে।
তাই জুমা এবং অন্যান্য নামাজ স্থানীয় মুসল্লীগণ যে সময় জামাতের সাথে পড়তে সুবিধা বোধ করেন তখনই জামাতের সময় নির্ধারণ সমিচীন।
ইসলাম ধর্মের অনেক বিষয়ে মুসলমানদের মাঝে অবহেলা এবং শিথিলতা রয়েছে, সে সকল বিষয়ে হক্কানী আলেমদের সাথে পরামর্শ করে কাজ করা উচিত।
এমএইচ/