বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২০ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিএনপি-জামায়াতের বাইরে নতুন রাজনৈতিক জোটের উদ্যোগ এনসিপির  মাইলস্টোনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের কারণ পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে আবারও পুরস্কার ঘোষণা বিশাল স্বর্ণ ভান্ডার মিলল পাকিস্তানে একীভূত হওয়া ৫ ব্যাংকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে : গভর্নর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী ফোরামের মানববন্ধন বৈষ্যমের বিরুদ্ধে সিলেটবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করতে হবে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রনে সরকারকে ন্যাপের আহ্বান জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ব্যতীত দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন সম্ভব নয়: কামাল হোসেন ঘূর্ণিঝড় টাইফুন কালমেগি আঘাত, নিহত বেড়ে ১০০, নিখোঁজ ২৬

সময়ের আগে-পরে সাহরি-ইফতার করলে রোজা থাকবে?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুহিউদ্দীন মাআয

পবিত্র মাহে রমজানে ধর্মপ্রাণ মুসলিম সিয়াম সাধনা করে থাকেন। সুবহে সাদিকের আগে সাহরি সেরে রোজার নিয়ত করেন। সারাদিন আল্লাহর হুকুম পালন করে সূর্যাস্তের পর ইফতারির মাধ্যমে একটি রোজা পূর্ণ করেন। সাহরি ও ইফতারির এসময় আল্লাহর তায়ালার নির্ধারিত বিধান। আল্লাহ তায়ালা বলেন—

আর পানাহার কর যতক্ষণ না কালো রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। অতঃপর রোজা পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত। (সূরা বাকারা, আয়াত,১৮৭)

সুতরাং কেউ ‘সময় আছে’ মনে করে সাহরি করল, পরে জানা গেল সময় আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে—তাহলে তার রোজা হবে না।

এবং ‘সময় হয়ে গিয়েছে’ মনে করে ইফতার করল, পরে জানা গেল এখনো সময় হয়নি—তাহলে তার রোজা পূর্ণ হবে না। বরং উভয় ক্ষেত্রে তাকে পুনরায় রোজা কাযা করতে হবে। তবে কাফফারা করতে হবে না।( আদ্দুররুল মুখতার ২/৪০৫;)

হযরত ইবনে জুরাইজ রাহ. বলেন, আমি আতা রাহ.-কে জিজ্ঞেস করলাম, রমযানের এক মেঘাচ্ছন্ন দিনে সময় হয়েছে মনে করে ইফতার করেছি। এরপর সূর্য দেখা গেল। এখন আমি কি শুধু ঐ দিনের রোযার কাযা করব, না আমাকে কাফফারাও আদায় করতে হবে? আতা রাহ. বললেন, হাঁ, (শুধু কাযা করবে)। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস: ৯১৪৭)

এ বিষয়ের বহু উদাহরন পবিত্র হাদীসগ্রন্থে উল্লেখ আছে— হযরত আসমা রা. বলেন, ‘রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যামানায় এক মেঘলা দিনে আমরা সূর্য ডুবে গেছে নিশ্চিত জেনে ইফতার করলাম। পরক্ষণেই মেঘ সরে গিয়ে সূর্য প্রকাশিত হল।’ হাদীসের রাবী হিশামকে জিজ্ঞাসা করা হল, তাদেরকে কি রোযা কাযা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল? তিনি বললেন, কাযা ছাড়া তো উপায় নেই। (সহীহ বুখারী, হাদীস ১৯৫৯; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ২৩৫৯)

হযরত বিশর ইবনে কায়েস থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি এক রমযানে বিকেল বেলা উমর রা.-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। উমর রা. সূর্য ডুবে গেছে মনে করে নিজেও পানি পান করলেন এবং আমাকেও পান করালেন। পরক্ষণেই সূর্য দেখা গেল। উমর রা. বললেন, ‘সমস্যা নেই। এর পরিবর্তে একটি রোযা কাযা করাই যথেষ্ট হবে।’ (সুনানে কুবরা, বায়হাকী ৪/৫৬৬;)

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ