শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৭ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মসজিদে নববীর ইমামের পেছনে নামাজ পড়তে মালদ্বীপে মুসল্লিদের ঢল আ.লীগ নিষিদ্ধের কথা বললে সরকার পশ্চিমাদের দোহাই দেয় : সারজিস নারী সংস্কার কমিশন বাতিল না করলে আন্দোলনের দাবানল জ্বলবে: হেফাজত আটপাড়ায় হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বৃদ্ধির সুপারিশ মজলিসে আমেলার বৈঠকে জমিয়ত, রাত পোহালেই কাউন্সিল কাল ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের গণমিছিল, প্রস্তুতি সম্পন্ন ‘রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক সংস্কার না হলে আবারও ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দেবে’ মাদরাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) সেবা ফাউন্ডেশনের কিতাব বিতরণ "পাশ্চাত্যের শক্তি নয় আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে এদেশের কোরআনপ্রেমী জনতা”

সময়ের আগে-পরে সাহরি-ইফতার করলে রোজা থাকবে?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুহিউদ্দীন মাআয

পবিত্র মাহে রমজানে ধর্মপ্রাণ মুসলিম সিয়াম সাধনা করে থাকেন। সুবহে সাদিকের আগে সাহরি সেরে রোজার নিয়ত করেন। সারাদিন আল্লাহর হুকুম পালন করে সূর্যাস্তের পর ইফতারির মাধ্যমে একটি রোজা পূর্ণ করেন। সাহরি ও ইফতারির এসময় আল্লাহর তায়ালার নির্ধারিত বিধান। আল্লাহ তায়ালা বলেন—

আর পানাহার কর যতক্ষণ না কালো রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। অতঃপর রোজা পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত। (সূরা বাকারা, আয়াত,১৮৭)

সুতরাং কেউ ‘সময় আছে’ মনে করে সাহরি করল, পরে জানা গেল সময় আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে—তাহলে তার রোজা হবে না।

এবং ‘সময় হয়ে গিয়েছে’ মনে করে ইফতার করল, পরে জানা গেল এখনো সময় হয়নি—তাহলে তার রোজা পূর্ণ হবে না। বরং উভয় ক্ষেত্রে তাকে পুনরায় রোজা কাযা করতে হবে। তবে কাফফারা করতে হবে না।( আদ্দুররুল মুখতার ২/৪০৫;)

হযরত ইবনে জুরাইজ রাহ. বলেন, আমি আতা রাহ.-কে জিজ্ঞেস করলাম, রমযানের এক মেঘাচ্ছন্ন দিনে সময় হয়েছে মনে করে ইফতার করেছি। এরপর সূর্য দেখা গেল। এখন আমি কি শুধু ঐ দিনের রোযার কাযা করব, না আমাকে কাফফারাও আদায় করতে হবে? আতা রাহ. বললেন, হাঁ, (শুধু কাযা করবে)। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস: ৯১৪৭)

এ বিষয়ের বহু উদাহরন পবিত্র হাদীসগ্রন্থে উল্লেখ আছে— হযরত আসমা রা. বলেন, ‘রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যামানায় এক মেঘলা দিনে আমরা সূর্য ডুবে গেছে নিশ্চিত জেনে ইফতার করলাম। পরক্ষণেই মেঘ সরে গিয়ে সূর্য প্রকাশিত হল।’ হাদীসের রাবী হিশামকে জিজ্ঞাসা করা হল, তাদেরকে কি রোযা কাযা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল? তিনি বললেন, কাযা ছাড়া তো উপায় নেই। (সহীহ বুখারী, হাদীস ১৯৫৯; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ২৩৫৯)

হযরত বিশর ইবনে কায়েস থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি এক রমযানে বিকেল বেলা উমর রা.-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। উমর রা. সূর্য ডুবে গেছে মনে করে নিজেও পানি পান করলেন এবং আমাকেও পান করালেন। পরক্ষণেই সূর্য দেখা গেল। উমর রা. বললেন, ‘সমস্যা নেই। এর পরিবর্তে একটি রোযা কাযা করাই যথেষ্ট হবে।’ (সুনানে কুবরা, বায়হাকী ৪/৫৬৬;)

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ