রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল, সম্পাদক মাজহারুল ইসলামি শক্তির মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টিকারী বক্তব্য থেকে বিরত থাকা উচিত গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপির একীভূত হওয়ার আলোচনা, নেতৃত্ব নিয়ে জটিলতা পিআর সিস্টেমের নির্বাচন নিরাপদ নির্বাচন, আদর্শের নির্বাচন: শায়খে চরমোনাই মসজিদ নিয়ে দ্বন্দ্ব, সড়কে জুমা আদায় হেফাজতের চার রাহবার সিরাতে মুস্তাকিমের পথ প্রদর্শক ছিলেন: হেফাজত আমির শ্রীমঙ্গলে খেলাফত মজলিসের সিরাতুন্নবী (সা.) সম্মেলন ‘পেশীশক্তি ও কালো টাকার দৌরাত্ম বন্ধে পিআর পদ্ধতির বিকল্প নেই’ ডাকসু-জাকসুর প্রভাব জাতীয় নির্বাচনেও পড়বে, আশা জামায়াত আমিরের জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক 

যে কারণে মিসওয়াক করবেন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

আওয়ার ইসলাম: মিসওয়াক করা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের গুরুত্বপূর্ণ একটি সুন্নাত। মিসওয়াক করার মাঝে রয়েছে ইহকালীন ও পরকালীন কল্যাণ ও উপকারিতা। তাই রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লানের মিসওয়াক প্রতি বিশেষ যত্নবান ছিলেন এবং উম্মতকেও এ ব্যাপারে বিশেষভাবে তাকিদ দিয়েছেন।

মিসওয়াকের গুরুত্ব

হযরত আবু উমামা রাঃ থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, এমনটি কখনো হয়নি যে, জিবরাইল আঃ আমার নিকট এসেছেন, আর আমাকে মিসওয়াকের আদেশ দেননি। এতে আমার আশংকা হচ্ছিল যে, (মিসওয়াকের কারণে) আমার মুখের অগ্রভাগ ছিলে না ফেলি (মুসনাদে আহমদ)।

অন্য হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আমি যদি উম্মতের উপর (কষ্ট হবার) আশংকা না করতাম, তাহলে প্রত্যেক নামাজেই মিসওয়াক করার আদেশ দিতাম (বুখারী, মুসলিম)।

মিসওয়াক করার ফজিলত

মিসওয়াকের বহু ফজিলত হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এ ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, মিসওয়াক মুখের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মাধ্যম ও আল্লাহর সন্তুষ্টির উপায় (নাসায়ী)।

 

অন্য এক হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, মিসওয়াক করে যে নামাজ আদায় করা হয়, সে নামাজে মিসওয়াকবিহীন নামাজের তুলনায় সত্তরগুণ বেশি ফজিলত রয়েছে (বাইহাকী)।

এছাড়াও মিসওয়াক করার আরও বহুবিধ উপকারিতা:

১. রাসূলুল্লাহ এর প্রিয় সুন্নত।

২. কফ্ দূর করে।

৩. দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে।

৪. কণ্ঠস্বর পরিষ্কার হয়।

৫. পাকস্থলীকে সুস্থ রাখে।

৬. হজমশক্তি বৃদ্ধি করে।

৭. আমল নামায় নেকী বৃদ্ধি করে।

৮. মুখ পরিচ্ছন্নতার মাধ্যম।

৯. তিলাওয়াত এবং যিকির-আযকারের মধ্যে সতেজতা প্রফুল্লতা সৃষ্টি করে।

১০. আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং ঈমানের উপর মৃত্যুবরণের মাধ্যম।

( আল-হাদিস )

বিনু/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ