শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৮ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মসজিদে নববীর ইমামের পেছনে নামাজ পড়তে মালদ্বীপে মুসল্লিদের ঢল আ.লীগ নিষিদ্ধের কথা বললে সরকার পশ্চিমাদের দোহাই দেয় : সারজিস নারী সংস্কার কমিশন বাতিল না করলে আন্দোলনের দাবানল জ্বলবে: হেফাজত আটপাড়ায় হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বৃদ্ধির সুপারিশ মজলিসে আমেলার বৈঠকে জমিয়ত, রাত পোহালেই কাউন্সিল কাল ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের গণমিছিল, প্রস্তুতি সম্পন্ন ‘রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক সংস্কার না হলে আবারও ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দেবে’ মাদরাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) সেবা ফাউন্ডেশনের কিতাব বিতরণ "পাশ্চাত্যের শক্তি নয় আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে এদেশের কোরআনপ্রেমী জনতা”

নবুওয়াতের পূর্বে নবীজি সা. -এর চরিত্র

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

মুফতি আরিফুল ইসলাম

এখনো হুজুর সা.-কে নবুওয়াতের মুকুট পরিধান করানো হয়নি। সকলের মুখে হুজুরের উত্তম চরিত্রের প্রশংসা। সবার হৃদয়ের মনিকোঠায় নবীজির স্থান । কেউ তাকে নাম ধরে ডাকে না । বলে আল আমীন। কেউ বলে সাদিক।সে সময়ের মূর্তিপূজার কোনো ছোয়াও নবীজির গায়ে লাগেনি।অথচ তখন মূর্তিপূজার কেন্দ্রবেন্দ্র ছিল মক্কা। খোদ মক্কায়ই ছিল ৩৬০ মূর্তি। পূজা-অর্চনা শেষে একবার হুজুরকে দেবতার নামে উৎসর্গকৃত খাবার পেশ করা হয়। হুজুর সা. তা খেতে অশ্বিকার করেন।

বিবস্ত্র হয়ে তওয়াফ করা ছিল তাদের ইবাদতের উত্তম প্রথা। নবীজি কখনো এই প্রথায় গা ভাসিয়ে দেননি। আরবের প্রচলন ছিল দীন শেষে সন্ধ্যায় গল্পের আড্ডা জমে ওঠত।নৃত্য, গান-বাজনা হত সে আড্ডায়। একবার হুজুর সা. শৈশবের তাড়নায় ওই আড্ডায় যেতে চান। পথে বিয়ের একটি বৈধ অনুষ্ঠানে থেমে যান। ঘুম চেপে বসে । এভাবে  ভোর হয়ে যায়। আর যাওয়া হয় নাই ওই আড্ডায়।

মদ পান করা তো ছিল তখন সাধারণ ব্যাপার। কখনো এক ডোক মদও পান করেননি প্রিয় নবী সা। অনর্থক কথা ও কাজ হুজুর সা. থেকে প্রকাশ পায়নি।

সত্যিই পাপ-পঙ্কিলতায় ভরপুর সমাজ থেকে নিজেকে পবিত্র রাখা ছিল বিস্ময়কর। কারণ তিনি তো পড়া লেখা জানতেন না। ছিলেন উম্মি। এসবই ছিল নবুওয়াতের আচল পবিত্র রাখার আল্লাহর কুদরতের বহিঃপ্রকাশ।-নবী আরাবী সা.উর্দ্দূ।

লেখক :  ইমাম ও খতীব

এম আই/

 

 

 


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ