বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫ ।। ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ৮ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
এ মাসের মধ্যেই জুলাই সনদ চূড়ান্ত করতে হবে: খেলাফত মজলিস মহররম-আশুরার শিক্ষা ও ইতিহাস পিলখানায় বিজিবির বৃক্ষরোপণ অভিযানের উদ্বোধন করলেন মহাপরিচালক বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন সম্ভব না : এ্যানি ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৩৫৮ বৃষ্টির দিনে ভিজে গেলে তাড়াতাড়ি কাপড় শুকানোর কার্যকর উপায় হারানো ৯০০ স্মার্টফোন উদ্ধার করে মালিকদের হাতে হস্তান্তর  আধুনিক ইতিহাসে অন্যতম নিষ্ঠুর গণহত্যাকারী ইসরায়েল: জাতিসংঘের বিশেষ দূত জুলাই সনদ ছাড়া নির্বাচনে যাবে না এনসিপি: নাহিদ ইসলাম গুমের সঙ্গে জড়িত সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: সেনাবাহিনী

পাকিস্তানি সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করল ভারত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানের কিছু সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ও ইউটিউব চ্যানেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ভারত। তবে সেই সিদ্ধান্তে আংশিক পরিবর্তন এনে এসব অ্যাকাউন্ট ও চ্যানেলের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে দেশটি। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

ফলে এখন ভারতীয় ব্যবহারকারীরা আবারও পাকিস্তানি তারকা মাওরা হোকেন, ইউমনা জায়েদি, আহাদ রাজা মীর এবং ড্যানিশ তাইমুরের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট দেখতে পাচ্ছেন। তবে ফাওয়াদ খান, মাহিরা খান ও হানিয়া আমিরের মতো জনপ্রিয় তারকাদের অ্যাকাউন্ট এখনও ব্লক তালিকায় রয়েছে।

একই সঙ্গে পাকিস্তানের জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেল হাম টিভি, এআরওয়াই ডিজিটাল এবং হার পাল জিও’র ইউটিউব চ্যানেলগুলোও ভারতে পুনরায় চালু হয়েছে।

সাবেক ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি, শোয়েব আখতার এবং রশিদ লতিফের ইউটিউব চ্যানেলও ভারতীয় ব্যবহারকারীদের জন্য আবার উন্মুক্ত করা হয়েছে।

তবে চলতি বছরের ৮ মে ভারত সরকার এক নির্দেশনায় পাকিস্তানের যেকোনো সিরিজ, গান, সিনেমা, পডকাস্ট বা অন্যান্য ডিজিটাল কনটেন্ট নিষিদ্ধ করেছিল। ওই নিষেধাজ্ঞার কারণ হিসেবে তথ্যপ্রযুক্তি বিধিমালা, ২০২১-এর আওতায় ‘জাতীয় নিরাপত্তা’ ও ‘ভারতের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি’র কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। সে সময় অন্তত ১৬টি ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ করা হয়, যার মধ্যে সাংবাদিক, শিল্পী ও ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের অ্যাকাউন্টও ছিল।

এ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। অল ইন্ডিয়ান সিনে ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লেখা খোলা চিঠিতে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে ‘দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য’ বলে উল্লেখ করেছে। চিঠিতে বলা হয়, ‘এটা কেবল ডিজিটাল কনটেন্ট নয়, বরং সন্ত্রাসে প্রাণ হারানো শহীদদের প্রতি অসম্মান।’

তবে ভারত সরকার এ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ