যুদ্ধবিরতির পর নিজের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে নতুন ঘোষণা দিয়েছে ইরান। দেশটির পারমাণবিক সংস্থার প্রধান মোহাম্মদ ইসলামি মঙ্গলবার এ ঘোষণা দেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স, মেহের নিউজের বরাত দিয়ে।
মোহাম্মদ ইসলামি জানান, সম্প্রতি ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের ধারাবাহিক হামলার ফলে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন চলছে এবং দ্রুত পুনরুদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “ইরানের পরমাণু শিল্পে যেন কোনো ধরনের উৎপাদন বা সেবা বাধাগ্রস্ত না হয়, তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাগুলো দ্রুত সচল করার জন্য জরুরি ভিত্তিতে কাজ চলছে। জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
এর আগে, ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি প্রধান পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এগুলো হলো—ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহান।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক বার্তায় জানান, “আমরা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় অত্যন্ত সফল হামলা চালিয়েছি। বর্তমানে আমাদের সব বিমান ইরানের আকাশসীমার বাইরে নিরাপদে রয়েছে।”
এদিকে, সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ নামের ওই অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ স্টিলথ বোমারু বিমানসহ ১২৫টিরও বেশি সামরিক বিমান হামলায় অংশ নেয়। হামলায় ট্যাংকার, নজরদারি উড়োজাহাজ ও যুদ্ধবিমানও ব্যবহার করা হয়।
সিএনএন প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ৭টি বি-২ বোমারু বিমান প্রতিটিতে দুটি করে বাংকার বিধ্বংসী বোমা বহন করে। এসব বোমার প্রতিটির ওজন প্রায় ৩০ হাজার পাউন্ড, যা পারমাণবিক স্থাপনার মতো শক্তিশালী স্থাপনা ধ্বংসে সক্ষম।
যুক্তরাষ্ট্রের এই অভিযানের পর অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনা নতুন করে বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই মধ্যে ইরান তাদের পরমাণু স্থাপনাগুলো পুনরুদ্ধার ও কর্মসূচি এগিয়ে নিতে কড়া অবস্থান নিয়েছে।
এমএইচ/