পাকিস্তানে মাওলানা ফজলুর রহমানের নেতৃত্বাধীন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম (জেইউআই) চূড়ান্তভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, তারা ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সঙ্গে কোনো ধরনের জোটে অংশ নেবে না এবং এমন কোনো জোটেও যোগ দেবে না, যা পিটিআই-এর ইঙ্গিতে গঠিত হবে। এই সিদ্ধান্তটি জমিয়তের সাধারণ পরিষদের দুই দিনের এক বৈঠকে নেওয়া হয়েছে, যা রোববার (২০ এপ্রিল) লাহোরে শেষ হয়েছে।
জমিয়ত আরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, তারা সংসদে স্বাধীন বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করবে। তারা সরকারে যোগ দেবে না, তবে সংসদে উত্থাপিত বিষয়সমূহ পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনে পিটিআই-এর সঙ্গে সহযোগিতা করা হবে কি না, সে বিষয়ে আলাদাভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জমিয়তের সূত্রগুলো দৈনিক জং/দ্য নিউজ-কে জানিয়েছে যে, তারা ২৭ এপ্রিল মিনার-ই-পাকিস্তানের সবুজ চত্বরে ‘ইসরায়েলের মরণ হোক’ শীর্ষক একটি সমাবেশের আয়োজন করছে। একইভাবে, ১০ মে পেশোয়ারে এবং ১৭ মে কোয়েটায়ও একই ধরনের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
পাঞ্জাবে খাল খননের বিষয়ে জমিয়তের সিন্ধু প্রাদেশিক শাখার অবস্থানকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় সংগঠন এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেবে না।
খনিজ ও খনির আইন সংক্রান্ত বিষয়ে জমিয়ত বলেছে, তারা প্রাদেশিক সংবিধানিক স্বার্থের সুরক্ষা করবে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মাওলানা ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে জাতীয় বিষয়গুলোতে জমিয়ত যথার্থ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
জানা গেছে, পিটিআই জমিয়তের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ করে বেশ কিছু বিষয়ের ব্যাখ্যা দিয়েছে, তবে জমিয়তের পক্ষ থেকে স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া না পাওয়ায় তা এগোয়নি। জমিয়ত মনে করছে, পিটিআই একদিকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বড় ধরনের জোট গঠনের চেষ্টা করছে, অন্যদিকে গোপনে স্ট্যাবলিশমেন্টের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে, যাতে ভবিষ্যতের দরকষাকষিতে নিজের অবস্থান মজবুত করা যায়।
এইভাবে পিটিআই অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চায়।
সূত্র: রোজনামায়ে জং
এসএকে/