সৌদি যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানফিলিস্তিনি জনগণের বৈধ অধিকার, তাদের আশা-আকাঙ্খা ও ন্যায়সঙ্গত স্থায়ী শান্তি অর্জনের জন্য সৌদি আরব পাশে আছে বলে জানিয়েছেন ।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) ভোরে সৌদির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে ক্রাউন প্রিন্স সালমান একথা বলেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর চলমান সংঘাত নিয়ে ফোনে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে কথা বলার সময় সালমান বলেন, এই সংঘাতে সৌদি আরব বরাবরের মতোই ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মাহমুদ আব্বাসকে সৌদি যুবরাজ আরও বলেন, ন্যায্য অধিকার, একটি মর্যাদাপূর্ণ জীবনের জন্য সংগ্রাম এবং আশা ও আকাঙ্ক্ষা উপলব্ধি করে ন্যায্য ও স্থায়ী শান্তি অর্জনের জন্য ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে থাকবে সৌদি আরব। এ ছাড়া এই সংঘাত বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাঙ্গে আলাপ করবেন বলেও জানান মোহাম্মদ বিন সালমান। তিনি বলেন, চলমান সংঘাত থামাতে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছে সৌদি আরব। এই ফোনালাপ নিয়ে একটি বিবৃতিও প্রকাশ করেছে মোহাম্মদ বিন সালমানের দফতর।
এদিকে, গাজা উপত্যকা পুরোপুরি অবরোধ করার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল। বন্ধ করা হয়েছে পশ্চিম তীরের প্রবেশপথও। এরই মধ্যে ৩ লাখ রিজার্ভ সেনাসদস্যকে তলব করেছে দেশটি। অন্যদিকে, পাল্টা অবস্থানে রয়েছে হামাস। সংঘাতে এখন পর্যন্ত দেড় হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। দুই পক্ষে আহতের সংখ্যা ৬ হাজারের বেশি। ইসরায়েলের দাবি, হামাসের হামলায় তিন দিনে অন্তত ৯০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি, ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় গাজায় মারা গেছে কমপক্ষে ৭০৪ ফিলিস্তিনি। জাতিসংঘ বলছে, বাস্তুচ্যুত হয়েছে গাজার লক্ষাধিক মানুষ।
এম আই/
                              
                          
                              
                          
                        
                              
                          