মুহাম্মদ মিজানুর রহমান
নারীরা যেমন রাঁধতে জানে তেমনি বাঁধতে জানে চুলও। বেশিরভাগ নারীই সারাদিন দুহাতে কাজ করে অভ্যস্ত! কিন্তু রাতের বেলায় মশারী বাঁধার সময় বাঁধে যত গন্ডগোল! একটু হাস্যরসের মতো শোনালেও এটা অনেকের বাস্তব জীবনের সাধারণ অভিজ্ঞতা! মেয়েরা অনেক কাজে দক্ষ হলেও মশারি টাঙানো নিয়ে তাদের “আলসেমি” বা অনিহার শেষ নেই! এ প্রশ্নটি হয়তো অনেকের মধ্যেই ঘুরপাক খায়। আসুন আজ উত্তরটা খুঁজে পাই কিনা দেখি!
শারীরিক কাঠামো ও অনীহা
মশারি টাঙানোতে একটু বাড়তি শারীরিক কসরত লাগে, যেমন, চেয়ার টেনে নেওয়া, দড়ি বাঁধা, মাথার উপর হাত তোলা, মশারি গোঁজা। অনেকেই এটাকে ঝামেলার কাজ মনে করতে পারেন। এ কারণেও মশারি বাঁধার ব্যাপারে তাদের মধ্যে অনীহা কাজ করতে পারে।
দায়সারা কাজ মনে হওয়া
অনেক নারীই মনে করতে পারেন মশারি টাঙানো কোনো সৃজনশীল কাজ নয়। তাই কারও কারও কাছে একঁঘেয়ে কাজটি ‘উৎসাহ জাগায় না। এজন্য এমন দায়সারা কাজ সে এড়িয়ে চলতে চায়।
এটা ছেলেদের কাজ – এই ধারণা
অনেকে মনে করেন, এটা ছেলেরা বা ঘরের অন্য কেউ করলেই ভালো । এক্ষেত্রে তাদের দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়ার মানসিকতা কাজ করতে পারে।
রুটিন কাজ হওয়ায় অবহেলা
মেয়েরা সারাদিন কাজ করে দিনশেষে ক্লান্ত অবস্থায় কাজটা এড়িয়ে যেতে চান। যদি কেউ সাহায্য করতে রাজি থাকে সাধারণত তখনই সেটা ঘটে।
এটাই কি আসল কারণ
মেয়েরা সব কাজে পটু হলেও—মশারি টাঙানোতে অলসতা করতে পারে, যেমন ছেলেরাও কাপড় ভাঁজ করতে চায় না পারতপক্ষে!
এটা আসলে মানুষভেদে অভ্যাস ও রুচির ব্যাপার। মজার দৃষ্টিতে দেখলে, এই “মশারি টাঙানো” নিয়ে একটা পারিবারিক হাসি-ঠাট্টার জায়গা তৈরি হয়, যা সম্পর্কেরও রসদ জোগায়! চাইলেই আপনি তাকে জিজ্ঞেস করতে পারেন, “তোমরা এত কাজ পারো, কিন্তু মশারির সাথে শত্রুতা কেন?”
এমএইচ/