বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২০ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭


ড. ইউনূসকে সরাতে কঠোর আন্দোলনের শঙ্কা: জাহেদ উর রহমান


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সরিয়ে দিতে শিগগিরই কঠোর আন্দোলন শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জাহেদ উর রহমান।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘জাহেদস টেক’-এ প্রকাশিত এক আলোচনায় তিনি বলেন, ড. ইউনূস নির্বাচনের পক্ষে কঠোর অবস্থান নেওয়ায় কিছু গোষ্ঠী তার বিরুদ্ধাচরণে নেমেছে এবং ভবিষ্যতে আরও তীব্র আক্রমণ হতে পারে।

তিনি বলেন,

“ড. ইউনূসকে সরাতে খুব কঠোর আন্দোলন শুরু হয়ে যেতে পারে। পরিস্থিতি এমন হতে পারে, যাতে তিনি দায়িত্বে থাকতে না পারেন। কারণ, তিনি নির্বাচনের পক্ষে খুবই দৃঢ় অবস্থানে আছেন। এ দেশে যে নির্বাচনের পক্ষে দাঁড়ায়, সে কিছু লোকের শত্রু হয়ে যায়।”

জাহেদ উর রহমান আরও জানান, ড. ইউনূসের পুরনো সমালোচনাগুলো নতুন করে সামনে আনা হতে পারে, এমনকি তাকে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের শিকার করেও চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা চলবে।

সম্প্রতি বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির সঙ্গে বৈঠকের পর ড. ইউনূসের দেওয়া বক্তব্যকে "খুবই কঠোর" বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন,

“সেই বক্তব্যে বোঝা গেছে, তিনি নির্বাচন নিয়ে কোনো আপস করতে রাজি নন। এটাই তাকে অনেকের টার্গেটে পরিণত করেছে।”

সরকারের কিছু প্রশাসনিক ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে জাহেদ বলেন,

“ড. ইউনূসের ম্যানেজমেন্টে ঘাটতি থাকতে পারে, কিন্তু যতদিন তিনি দায়িত্বে থাকবেন, নির্বাচন বানচালের প্রচেষ্টা সহজ হবে না। দেশি ও বিদেশি খেলোয়াড়রাও সহজে সফল হতে পারবে না।”

তবে তিনি আশঙ্কা করেন, ড. ইউনূস যদি দায়িত্ব ছাড়ার ইঙ্গিত দেন, তাহলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে।

“তিনি খানিকটা ‘নন-কনফ্রন্টেশনাল’ মানুষ, তাই কিছু গোষ্ঠীর আশা তৈরি হতে পারে। যদি তিনি সরিয়ে দেওয়া হন, তাহলে তারা নিজেদের মতো লোক বসাতে চাইবে। এতে সেনাপ্রধান, প্রেসিডেন্ট—সব কিছু বদলাতে চাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হবে। দেশ অরাজকতার দিকে যেতে পারে।”

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ