মুজাহিদ সগির আহমদ চৌধুরী
প্রাইমারিতে ৬৫ হাজার গানের শিক্ষক নিয়োগ দেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এটা নাকি খুব জরুরি!
গ্রাম থেকে উঠে এসে শহুরে জিন্দেগিতে প্রবেশ করেই সেই কালে লোকজন ছেলে-মেয়েদের গান শেখাতো। ফকিন্নির জাত এই করে নিজেদেরকে জাতে উঠাতো, প্রগতিশীল হয়ে নিজেদেরকে অন্যদের থেকে এলিট দেখাতো। এরাই পরে বিলাসিতার চোর, দুর্নীতিবাজ, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চরম স্বেচ্ছাচারী হয়ে ওঠেছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এসব অকর্মণ্যদেরই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। আর সেটা নাকি এখন খুব বেশি জরুরি। অথচ জরুরি ছিল নৈতিক শিক্ষার! দেশটা দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, লুটপাট ও ফ্যাসিবাদী চরিত্রে যেভাবে ভরে গেছে তার থেকে উত্তোরণের জন্য শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধে উজ্জীবিত করারই জরুরত ছিল সবচেয়ে বেশি।
ইসলামী আন্দোলন, হেফাজত, বেফাক ও হাইয়াসহ সকল ধর্মীয় পক্ষ থেকে প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষকের পদ সৃষ্টি এবং নিয়োগের জোর দাবি থাকলেও সেটা তো শিক্ষামন্ত্রণালয় রক্ষা করেইনি, বরং উলটো গানের শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করে জুলাই অভ্যুত্থানের অংশীদার ইসলামপন্থিদের গালে চপেটাঘাত করেছে।
আপনি চিন্তা করে দেখবেন এই গানওলালা, কথিত শিল্পীগোষ্ঠীরা বিগত ১৬ বছরে ফ্যাসিবাদের তল্লী বহন করেছে সবচেয়ে বেশি। আর সবচেয়ে নিপীড়িত ছিল ওলামায়ে কেরাম। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রণালয় ওলামায়ে কেরাম, তাদের দাবি ও প্রত্যাশা পূরণ না করে, তথাকথিত গানওয়ালীদেরকে পুরস্কৃত করছে।
লেখক: সভাপতি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা
আরএইচ/