বরগুনার আমতলীতে বাসচাপায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা প্রভাষক রেজাউল করিম নিহতের ঘটনায় দলটির নেতাকর্মী এবং আমতলী বন্দর হোসাইনিয়া কামিল মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাতে ও বুধবার (৬ আগস্ট) সকাল থেকে ফের আমতলী-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেন।
নিহত রেজাউল করিম গুলিশাখালী ইউনিয়নের গোছখালী গ্রামের হাফেজ মাওলানা মো. নুরুল হকের ছেলে। তিনি আমতলী বন্দর হোসাইনিয়া কামিল মাদরাসার আইসিটি বিষয়ের প্রভাষক।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়ন ইসলামি আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল করিম মঙ্গলবার ৫ আগস্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থান কর্মসূচি পালন শেষে আমতলী শহর থেকে মোটরসাইকেল যোগে সন্ধ্যা ৬টার সময় আমতলী-ঢাকা রুটের আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। ঘটখালী ব্রিজের নিকট যাওয়া মাত্র বিপরীত দিক থেকে চালিয়ে আসা ছন্দা (পটুয়াখালী-ব-১১-০০৪৫) নামের একটি বাস রেজাউলের মোটরসাইকেলটিকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। খবর পেয়ে ইসলামী আন্দোলনের শত শত নেতা কর্মীরা রেজাউলের নিহতের ঘটনায় বাসচালক এবং হেলপারকে আটকের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। দুই ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নিয়ে বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ঘটনার পর মঙ্গলবার রাতেই নিহতের ভাই মাওলানা মো. ফয়জুল করিম বাদী হয়ে সড়ক পরিবহণ আইনে আমতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর আমতলী থানার পুলিশ ঘাতক বাসটির চালক মো. নুর জামাল (৪০), সুপারভাইজার মো. আকতারুজ্জামান মোল্লা (২৫) ও হেলপার মো. আমির হোসেনকে(৩০) পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, মঙ্গলবার রাতেই মামলার পর অভিযান চালিয়ে চালক হেলপার, সুপারভাইজারসহ বাসটিকে আটক করা হয়েছে। গ্রেফতার ৩ জনকে বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এমএইচ/