সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৭ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ৩০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা মাদরাসা ছাত্রী, অভিযুক্ত জামায়াতকর্মী গ্রেপ্তার. ইসলামকে একটি বার সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ শায়খে চরমোনাইয়ের বক্তা আমির হামজার বক্তব্য মনগড়া ও অসত্য: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত পরিবারকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে বিআরটিএ নিজ খরচে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ নির্মাণ করলেন তামিম ইকবাল ফজলুর রহমানের মন্তব্যের প্রতিবাদ ডাকসু নেতাদের জাতিসংঘ অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী আরও দুই নেতা যেসব দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে  ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলো যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া জাগো হে কওমি তারুণ‍্য!

নাটোরে ভাষা সৈনিক ফজলুল হক আর নেই

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরের ভাষা সৈনিক ও ইউনাইটেড মেডিকেলের স্বত্বাধিকারী ফজলুল হক (৮৪) আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে নানান রোগে ভুগছিলেন।

সোমবার রাত ৭টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

ভাষা সৈনিক ফজলুল হকের ছেলে ওয়াসিফ-উল-হক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ফজলুল হক ১৯৩৮ সালে নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার দমদমা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। জেলা বোর্ডের সেকশন অফিসার হিসেবে সরকারি চাকরি করেছেন তিনি। অবসরের পর ফজলুল হক নাটোর শহরে ওষুধ ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। তিনি নাটোর ইউনাইটেড মেডিকেল হলের স্বত্বাধিকারী ছিলেন। তার স্ত্রী, তিন মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৫২ সালে নবম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় মাতৃভাষা বাংলার জন্য রাজপথে নেমে আন্দোলন করেছিলেন ফজলুল হক। বৃদ্ধ বয়সে শারীরিক অসুস্থতার কারণে বাড়িতে শুয়ে-বসেই সময় কাটতো তার। নাটোর জেলায় যে কয়েকজন ভাষা সৈনিক ছিলেন, তাদের মধ্যে ফজলুল হক শুধু জীবিত ছিলেন। ভাষা আন্দোলনের ৭১ বছরেও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাননি এ গুণী ব্যক্তি। ভাষা আন্দোলনে অনন্য ভূমিকা রাখায় ২০১০ সালে অনুষ্ঠিত নাটোর সরকারি বালক বিদ্যালয় শতবর্ষ উৎসবে তাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছিল।


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ