শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫ ।। ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
শিশুর বারবার ঠান্ডা লাগা: কারণ ও প্রতিকার জানুন ধর্মের অপব্যাখ্যা করে বিশৃঙ্খলা তৈরির সুযোগ কাউকে দেয়া হবে না: ধর্ম উপদেষ্টা বাংলাদেশে কেন একজন মাওলানা ফজলুর রহমান নেই, কেন হয় না! বড় হচ্ছে দুদকের পরিধি, কর্মকর্তাদের সম্পদ যাচাই বাধ্যতামূলক আগামী সপ্তাহে প্রবাসীদের ঠিকানায় যাচ্ছে পোস্টাল ব্যালট অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে যুক্ত অনেকেই নির্বাচন করবেন: উপদেষ্টা আসিফ খোদাদ্রোহী বাউল আবুল সরকারের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে জাতীয় ইমাম পরিষদের মানববন্ধন বাউলদের ওপর হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে : প্রেস সচিব শ্রীলঙ্কায় বন্যা-ভূমিধসে অন্তত ৩২ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ১৪ দুটি ট্রলারসহ টেকনাফের ১২ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

রাজধানীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই নারীসহ ৪ জনের মৃত্যু

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দেশের অন্যান্য জেলার মতো রাজধানী ঢাকাতে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টির মধ্যে পৃথক তিন স্থানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৭ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- খিলগাঁও রিয়াজবাগ এলাকার রিকশার গ্যারেজে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া রাকিব (২৫), খিলগাঁও সিপাহীবাগে রাস্তায় জমে থাকা পানির মধ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া মরিয়ম বেগম (৪৫), যাত্রাবাড়ীতে টিনের প্রাচীর স্পর্শ করে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া লিজা আক্তার (১৬) ও অন্যজন বাড্ডার বাসিন্দা। তার নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সোমবার (২৭ মে) তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত মরিয়মকে হাসপাতালে নিয়ে আসা প্রতিবেশি মো. নাহিদ নামে এক যুবক জানান, রাত ৯টার দিকে খিলগাঁও সিপাহীবাগ আইসক্রিম গলির মক্কা টাওয়ারের পাশে একটি রাস্তায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন মরিয়ম নামে ওই নারী। রাস্তাটিতে বৃষ্টির কারণে হাঁটুসমান পানি জমেছিল। তাদের ধারণা, সেখানে বিদ্যুতের কোন তার ছিড়ে পড়েছিল বা বৈদ্যুতিক খুঁটি বিদ্যুতায়িত হয়েছিল। আর সেখান থেকেই ওই নারী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।

তিনি জানান, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ওই নারীকে পানিতে পড়ে থাকতে দেখে তিনি এবং স্থানীয়রা উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। একই স্থানে কিছুদিন পরপরই এমন দুর্ঘটনা ঘটে বলে দাবি করেন তিনি।

মৃত মরিয়মের ছেলের বন্ধু তুহিন জানান, মরিয়মের বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলায়। পরিবার নিয়ে থাকেন খিলগাঁও মেরাদিয়া কবরস্থান গলিতে। স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন তিনি। রাতে গার্মেন্টস থেকে বাসায় ফিরেন। এরপর ছেলে ইয়ামিনকে খুঁজতে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন তিনি। এরপরই রাস্তায় এই দুর্ঘটনার শিকার হন।

ঢামেক হাসপাতালের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া এসব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সবার লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ