শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৮ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
জমিয়তের জাতীয় কাউন্সিলের ৭ নতুন প্রস্তাবনা ‘আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি ব্যতিত জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সংহতি বজায় রাখা সম্ভব নয়’ গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেপ্তার এবার যে ২০ ভাষায় অনুবাদ করা হবে হজের খুতবা সংসদ ও রাষ্ট্রপতির মেয়াদ ৫ বছরের পক্ষেই জামায়াত স্বামীর টাকায় হজ করলে ফরজ আদায় হবে? ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ ৩০ ফিলিস্তিনি, নেই উদ্ধারের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি পেহেলগামে হামলার স্বচ্ছ তদন্তের জন্য পাকিস্তান প্রস্তুত: শাহবাজ শরীফ জমিয়তের সভাপতি আল্লামা ওবায়দুল্লাহ ফারুক মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি খেলাফত আন্দোলনের নতুন মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ সাদিক হক্কানী

প্রবাসী আয়ে গতি ফিরছে, বাড়ছে রেমিট্যান্স

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: দেশে চলতি বছরের তৃতীয় মাস মার্চের প্রতিদিন প্রায় ৬ কোটি ৮৫ লাখ মার্কিন ডলার বা ৭৩৩ কোটি টাকার (প্রতি এক ডলার সমান ১০৭ টাকা ধরে) প্রবাসী আয় আসছে। প্রবাসী আয়ের এ ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে রেকর্ড ২ দশমিক ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ২২ হাজার ৭১৪ কোটি টাকার প্রবাসী আয় আসবে দেশে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ চিত্র উঠে এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি মার্চ মাসের প্রথম ১৭ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ১১৬ কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার বা ১২ হাজার ৪৫৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৪ কোটি ৯১ লাখ ডলার বা ১৫৯৫ কোটি টাকার বেশি। বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ২ কোটি ৫২ লাখ ডলার বা ২৭০ কোটি টাকার প্রবাসী আয় এসেছে। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৯৮ কোটি ৬১ লাখ ১০ হাজার ডলার বা ১০ হাজার ৫৫১ কোটি টাকা এবং বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩.৭৪ মিলিয়ন ডলারের প্রবাসী।

তবে আলোচিত সময়ে ৮ ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো প্রবাসী আয় দেশে আসেনি। এর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব), বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে বেঙ্গল কমার্সিয়াল ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, সীমান্ত ব্যাংক, বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নানা উদ্যোগ কাজে আসছে। হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স না পাঠানোর আহ্বান জানানো হচ্ছে। এটা এখন কাজে আসছে, রেমিট্যান্স বাড়ছে। চলতি মাসের শুরু থেকেই ভালো অবস্থানে রয়েছে প্রবাসী আয়। সামনে দুটি বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা আছে, এ কারণে আগামীতে রেমিট্যান্স আরও বাড়বে।

চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই ও আগস্ট) টানা দুই বিলিয়ন ডলার করে রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। কিন্তু সেপ্টেম্বর থেকে টানা পাঁচ মাস দেড় বিলিয়ন ডলারের ঘরেই থেমে যায়। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে (জুলাই) এসেছে ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার, আগস্টে এসেছে ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ ডলার, সেপ্টেম্বরে ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ মার্কিন ডলার, অক্টোবরে ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ ডলার, নভেম্বরে ১৫৯ কোটি ৪৭ লাখ ডলার, ডিসেম্বরে প্রায় ১৭০ কোটি ডলার বা ১৬৯ কোটি ৯৬ লাখ মার্কিন ডলার, জানুয়ারি মাসে এসেছে ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ মার্কিন ডলার। আর সদ্য বিদায়ী ফেব্রুয়ারি মাসে আসে ১৫৬ কোটি ১২ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স।

২০২১-২০২২ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে মোট ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ (২১.০৩ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। এটি তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ কম। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ (২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল।

দেশের মধ্যে শুরু হওয়া তীব্র ডলার সংকট এখনও দূর হয়নি। জরুরি পণ্য আমদানির জন্য বৈদেশিক মুদ্রাবাজার পরিস্থিতি ঠিক রাখতে ডলার বিক্রি অব্যাহত রেখেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি অর্থবছরের সাত মাসে বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে বিক্রি করা হয়েছে ৯৬৭ কোটি ডলার। এর আগে এত কম সময়ে কখনও এত ডলার বিক্রির প্রয়োজন হয়নি। আর এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলারে।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ