শনিবার, ০৩ মে ২০২৫ ।। ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৫ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
জ্ঞান ও প্রজ্ঞার আধার, বিশ্বমানের বাংলাদেশি আলেম চলে গেলেন আল্লামা সুলতান যওক নদভী এবার চা বাগানে ছবি তোলার সময় দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেলো বিএসএফ কর্মকর্তাদের মেরুদণ্ড শক্ত করে কাজ করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর এখন মানুষ মন খুলে লিখছেন, সমালোচনা করছেন : প্রেস সচিব গাজায় ত্রাণ বহনকারী জাহাজে ইসরায়েলের হামলা কাশ্মীর হামলার পেছনে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা : দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন নারীবিষয়ক সংস্কার প্রস্তাব আগাগোড়া ইসলামবিরোধী: হেফাজতে ইসলাম পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে খাদ্য মজুতের নির্দেশ হেফাজতের মহাসমাবেশ সফল করতে সাভারে মোটর সাইকেল শোডাউন

মাত্র ৪ মাসে কুরআন হিফজ করলেন মৌলভীবাজারের মাহির

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রফিকুল ইসলাম জসিম ।।

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় মাত্র চার মাসে পবিত্র কোরআন শরীফের হাফেজ হয়েছেন ১১ বছরের শিশু মাহির হাসান। সে উপজেলার আহমদাবাদ মাদ্রাসার ছাত্র। তার সঙ্গে একই মাদ্রাসার আরেক ছাত্র শাফায়াত আহমেদ (১২) সাত মাসে কোরআনের হাফেজ হয়েছেন।

দুজনের এমন কৃতিত্বপূর্ণ অর্জনে খুশি পরিবার ও শিক্ষকরা। জানা গেছে, ছেলেকে কোরআনের হাফেজ হিসেবে গড়ে তুলার স্বপ্ন দেখছিলেন শিশু মাহির হাসানের বাবা জহির উদ্দিন। সেই স্বপ্ন থেকে কয়েকমাস আগে কুলাউড়া শহরের আহমদাবাদ মাদ্রাসায় ছেলেকে ভর্তি করেন তিনি।

শুরু থেকেই পবিত্র কোরআন খুব সহজভাবে ধারণ করতে পারছিল মাহির। তাই শিক্ষকরা মাহিরসহ মাদ্রাসার অপর ছাত্র শাফায়াতকে বিশেষভাবে তত্ত্বাবধান করেন। তাই দুইজনই খুব দ্রততম সময়ের মধ্যে হিফজ সম্পন্ন করেন।

মাহির উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে। তার বাবা জহির উদ্দিন জানান, একজন মুসলমান হিসেবে আমাদের কোরআন পড়া উচিত, কোরআন বুঝা উচিত, কোরআনের বিধানমতে জীবন পরিচালনা উচিত।

তিনি আরো বলেন, সে জন্যই আমি আমার ছেলেকে কোরআনের হাফেজ হিসেবে গড়ে তুলার ইচ্ছা পোষণ করি। অবশেষে মাত্র চার মাসের মধ্যেই সে একজন কোরআনের হাফেজ হিসেবে গড়ে উঠেছে। এটা আল্লাহর একটি বিশেষ নেয়ামত।

আহমদাবাদ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মাহমুদুর রহমান ইমরান জানান, পৃথিবীর একমাত্র গ্রন্থ পবিত্র কোরআন শরীফ, যা পৃথিবীর লাখ লাখ মানুষ বুকে ধারণ করে থাকে। হাজার হাজার শব্দ আর শত শত পৃষ্ঠার এই গ্রন্থ সকলে মুখস্থ করতে পারে না, আর পারলেও ৪ থেকে ৫ বছর তো লাগবেই। আলহামদুলিল্লাহ, মাত্র চার মাসে মাহির ও সাত মাসে শাফায়াত পুরো কোরআন শরীফ মুখস্ত করে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে।

তিনি আরো জানান, গত ৭ জানুয়ারি মাহির হিফজ শুরু করে। ১৪ এপ্রিল সে হিফজ শেষ করেছে। আর শাফায়াত হিফজ শুরু করে গত বছরের ১৬ অক্টোবর। তার হিফজ শেষ হয়েছে ১৪ এপ্রিল। মাহির ও শাফায়াতের ঐকান্তিক ইচ্ছা, শিক্ষকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং তাদের পরিবারের সহযোগিতায় আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে খুব শৈশবেই এই মহাপুরস্কারে ভূষিত করেছেন।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ