বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

আমরা কেনো বেঁচে আছি, আমরা কি জানি?: মাওলানা তারিক জামিল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুযযাম্মিল হক উমায়ের

প্রিয় ভাইয়েরা! জমিনের নাড়াচাড়ার এই ধরন তিন রকমের হয়ে থাকে। জমিন ঘুরে। জমিন চলে। ঘুরা এবং চলার মাঝে মাঝে জমিন কখনো লিফটের মতো হয়ে যায়। কখনো লাইটের মতো হয়ে যায়। যা ২৩ ডিগ্রী পর্যন্ত এসে থাকে। এখান থেকে ঘুরা শুরু করে। তারপর এখান থেকে দ্বিতীয়বার ঘুরা শুরু করে। যখন ২৩ ডিগ্রীতে চলে আসে তখন ২২ মার্চ হয়।

আর ২১ সেপ্টেম্বর ও ২২ মার্চ এই দুই তারিখে সমস্ত পৃথিবীতে দিন—রাত সমান ১২ ঘন্টা করে হয়ে যায়। ইউরোপ, এশিয়া, আফ্রিকা সকল দেশেই ১২ ঘন্টায় দিন ও ১২ ঘন্টায় রাত হয়ে যায়। এই সময় জমিন তার উত্তর ও দক্ষিণ মেরু সমান করে নেয়। এই কারণেই মূলত দিন—রাত সমান হয়ে যায়। জমিনের এই নাড়াচাড়া বাতাসকে হেলাতে থাকে।

বাতাস হেলার কারণেই আমি কথা বলতে পারছি আর আপনারা শুনতে পাচ্ছেন। যদি আল্লাহ তায়ালা বাতাসের এই হেলাধুলাকে বন্ধ করে দেন, তাহলে দশ হাজার লাউডস্পিকার ব্যবহার করেও কেউ কারো কথা শোনাতে পারবে না। আমি জোরে জোরে গলা চিল্লে কথা বললেও আপনারা কিছুই শুনতে পাবেন না। বাতাস হেলাধুলার কারণেই মূলত আমাদের কথা একে অপরের কাছে পৌঁছে থাকে।

ভাইয়েরা! যদি আল্লাহ তায়ালা জমিনকে ডানে—বামে নাড়াচাড়া করা বন্ধ করে দেন, তখন পৃথিবীর সকলে মিলে একসাথে চিল্লাপাল্লা করেও ১ ফিট সামনে নেওয়া যাবে না। জমিনের এই নাড়াচাড়া বন্ধ করে দেওয়ার কারণে আওয়াজ সফর না করার সমস্যা সারা পৃথিবীবাসী পোহাতে হবে। আর এতে সমস্ত শ্রবণযোগ্য বিষয়বস্তুর নেজাম ধ্বংস হয়ে যাবে। এগুলি বেকার হয়ে যাবে।

দ্বিতীয় ক্ষতি যা হবে তা হলো, আমাদের মুখ থেকে যে কার্বন ডাই অক্সাইড প্রতি নিয়ত বের হচ্ছে তা বন্ধ হয়ে যাবে। শ্বাস—নিঃশ্বাস ভিতরে যাবে না। তখন মুখের সামনেই সেটি গোলাকৃত হতে হতেই নিজের শ্বাসেই দম বন্ধ হয়ে মানুষজন মারা যাবে।

ভাইয়েরা! এই বাতাস আমাদেরকে গাছের সবুজ সবুজ পাতা থেকে অক্সিজেন উপহার দিচ্ছে। একদম ফ্রি। টাকা দিতে হয় না। নেওয়ার জন্যে আমাদের কোন কষ্টও পোহাতে হয় না। আল্লাহ তায়ালা অক্সিজেন নামক এই নিয়ামতকে আমাদের জন্য একদম সহজলব্ধ করে দিয়েছেন। বাতাস সেটিকে গাছের পাতা থেকে টেনে আমাদের শরীরের জন্য উপযোগী করে নাকেমুখে দিয়ে দেয়।

আর আমাদের মুখ থেকে নির্গত দূষিত কার্বন ডাই অক্সাইডকে গাছের পাতায় নিয়ে যায়। সেখানে আমাদের দূষিত কার্বন ডাই অক্সাইডকে নতুন করে আমাদের জন্য প্রস্তুত করা হয়। পূণরায় গাছের পাতা থেকে বাতাস আমাদের জন্য নিয়ে আসে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের উপর দয়া করে জমিনে এই নেজাম চালু করেছেন। সুতরাং আল্লাহ তায়ালার কাছে আমাদের কৃতজ্ঞতা আদায় করতে হবে তাঁর আদেশ—নিষেধ পালন করার মাধ্যমে। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে আমলের তাওফিক দান করুন। আমীন।

সূত্র: মাওলানা তারিক জামিল সাহেবের বয়ানের অনুবাদ

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ