সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৩০ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
‘৩ মে’র মহাসমাবেশ হবে তৌহিদি জনতার গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক’ ৩ মের মহাসমাবেশ সফল করতে হেফাজত আমিরের আহ্বান হজ অ্যাপ ‘লাব্বাইক’ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ইসলামবিরোধী কবিতা লিখে নির্বাসিত, ৫০ বছরেও ফিরতে পারেননি দেশে তিন পুরুষের জমিয়ত উত্তরসূরী মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী আজ হজ ফ্লাইট উদ্বোধন করবেন ধর্ম উপদেষ্টা হেফাজতের খুলনা মহানগরী সভাপতি মাওলানা সাখাওয়াত, সম্পাদক গোলামুর রহমান যুদ্ধের মাঝে যৌথ অস্ত্র উৎপাদন: ভারত-ইসরায়েল সামরিক সম্পর্কের বিবর্তন তাকওয়ার ছায়ায় মানবসভ্যতার বিকাশ ‘মানুষের ক্ষুধা নিবারণ না করতে পারলে সংস্কার-নির্বাচন ভেস্তে যাবে’

ফেব্রুয়ারিতে কাউন্সিল, কে হচ্ছেন আমিরে মজলিস?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: আর ৫ দিন পরই বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কাউন্সিল। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর তোপখানা রোডে বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে এ কাউন্সিল শুরু হবে। এদিনই দলটির ২০১৮-২০১৯ সেশনের আমিরে মজলিস নির্বাচন করা হবে।

কাউন্সিলের দিন-ক্ষণ চূড়ান্ত হওয়ার পর থেকেই খেলাফত মজলিসের নতুন নেতৃত্ব নিয়ে নানা আলোচনা শোনা যাচ্ছে দলটির নেতাকর্মী-সমর্থকদের মধ্য থেকে। এ দলের কাউন্সিল নিয়ে হিসেব কষছে অন্য ইসলামি ঘরানার দলগুলোও। আমিরে মজলিস নির্ধারণ নিয়ে মত ভিন্নতা থাকলেও আসন্ন কাউন্সিলে গতিশীল নেতৃত্ব আসবে, এমন প্রত্যাশা প্রায় সবার।

গত বছরের ১৯ অক্টোবর প্রিন্সিপাল হাবিবুর রহমান ইন্তেকাল করলে মজলিসের আমির পদটি শূন্য হয়। শাইখুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হকের পর প্রিন্সিপাল হাবিবুর রহমান মজলিসের আমির হন। এরপর দীর্ঘ ৮ বছর তিনি দলটির গুরুত্বপূর্ণ এ দায়িত্ব পালন করেন।

মূলত প্রিন্সিপাল হাবিবুর রহমানের ইন্তেকালের পর থেকেই খেলাফত মজলিসের পরবর্তী আমির নিয়ে কানাঘুষা-আলোচনা শুরু হয়। বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্য বলছে, ২ ফেব্রুয়ারির কাউন্সিলে দলটির আমির হওয়ার আলোচনায় রয়েছেন এর অভিভাবক পরিষদের চেয়ারম্যান আল্লামা আশরাফ আলী, সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইসমাইল নূরপুরী, মাওলানা জোবায়ের আহমদ আনসারী ও মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু সমর্থিত সূত্র জানায়, খেলাফত মজলিসের নতুন আমির হবেন আলেমে দীন ও শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব আল্লামা আশরাফ আলীই। শাইখুল হাদিসের পরীক্ষীত বন্ধু আল্লামা আশরাফ আলীর গৌরবময় রাজতৈনিক অভিজ্ঞতা আছে। আছে জাতীয় শিক্ষা, দাওয়াত এবং রাজতৈনিক জীবনে উজ্জ্বল ভূমিকাও।

সূত্রগুলোর দাবি, মাওলানা ইসমাইল নূরপুরী রাজনীতিতে তেমন সক্রিয় নয়। রাজধানীর বাইরে থাকায় জাতীয়ভাবেও অবদান নেই তেমন। এ কারণে দলে তার গ্রহণযোগ্যতাও আশানুরূপ নয়। মাওলানা জোবায়ের আহমদ আনসারী ভালো বক্তা, কিন্তু তার রাজনৈতক পরিচয়ও আমির হওয়ার মতো বড় নয়।

আর বয়স বিবেচনায় দলের মহাসচিব শাইখুল হাদিসের সন্তান মাওলানা মাহফুজুল হকের আমির না হওয়াই তার জন্য নিরাপদ। এ ছাড়া, দলকে গতিশীল করতে মহাসচিব পদটি যথেষ্ট কার্যকর ও শীক্তশালী হওয়ায় আমির হওয়ার চেয়ে তার বরং মহাসচিব থেকেই দলে ভূমিকা রাখাটা জরুরি। এর চেয়েও বড় ব্যাপার, মাওলানা মাহফুজুল হককে আমির করা হলে মহাসচিব পদ শূন্য হয়ে যাবে। এতে একইসঙ্গে আমির ও মহাসচিবে রদবদল আসবে, যা ইতিবাচক নয় বলেই মত ওই সূত্রগুলোর।

অন্য এক সূত্র জানায়,  আল্লামা আশরাফ আলী এক সময় মজলিসের নায়েবে আমির ছিলেন। বর্তমানে তাকে আমির করার চিন্তা-ভাবনা চলছে। তাকে আমির করা হলে, দলের গ্রহণযোগ্যতা, ভাবমর্যাদা আরও উজ্জ্বল ও গতিশীল হবে। তবে রাজনীতির বাইরে থাকা বিশিষ্টজন ও কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন মনে করছেন, আল্লামা আশরাফ আলীর জন্য এই পদ গ্রহণ না করাই উচিত।

কেপি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ