রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
যেসব দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে  ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলো যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া জাগো হে কওমি তারুণ‍্য! রাতেই ঢাকাসহ তিন অঞ্চলে ঝড়ের আভাস অর্থনীতির মূল লক্ষ্য হতে হবে উদ্বৃত্ত সৃষ্টি: বাণিজ্য উপদেষ্টা চবির আরবি বিভাগের নতুন সভাপতি অধ্যাপক ড. গিয়াস উদ্দিন তালুকদার ডেঙ্গুতে একদিনে ১২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৪০ সিরাতকে ধারণের মাধ্যমেই সত্যিকার পরিবর্তন সম্ভব: ধর্ম উপদেষ্টা সিরাতুন্নবী (সা.) সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতার লাইভ ড্র অনুষ্ঠান ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট

বিশ্বের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় মরক্কোর 'অাল কারওয়্যাইন'

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রকিব মুহাম্মাদ
আওয়ার ইসলাম

বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন লাইব্রেরিটির অবস্থান আধুনিক তিউনিশিয়ায়। কারওয়্যাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অংশ এই লাইব্রেরি। বিশ্ববিদ্যালয়, এটি সংলগ্ন মসজিদ এবং এই লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠা হয় একত্রে, ৮৬৯ সালে।

জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা বা ইউনেস্কোর ঘোষণা মতে কারওয়্যাইন বিশ্ববিদ্যালয় পৃথিবীর প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। ৮৫৯ সালে ফাতিমা আল-ফিহরি নামের মুসলিম এক নারী বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

মধ্যযুগে মুসলিম বিশ্ব ও ইউরোপের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও জ্ঞান বিনিময়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। এটি ছিল মুসলিম বিশ্বে নেতৃত্বদানকারী অন্যতম একটি আধ্যাত্মিক ও শিক্ষাবিষয়ক কেন্দ্র। এটি মূলত ইসলাম শিক্ষাবিষয়ক ধর্মভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়।

মানচিত্রকার মোহাম্মদ আল ইদ্রিসী এখানকার ছাত্র ছিলেন, যার মানচিত্র রেনেসাঁর সময় ইউরোপিয়ানদের গবেষণা করতে সাহায্য করেছিল।

আরও পড়ুন : চোখ ধাঁধানো নীল রঙের মসজিদটি!

এছাড়াও, কারওয়্যাইন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছেন আবু আল আব্বাস আল জ্ব্যামী, আবু মাহবুব আল ফাসিসহ বিখ্যাত অনেকে। এর সুনাম বিস্তৃত ছিল শুধু দেশে নয়, দেশের বাইরেও। ইউরোপের সংস্কৃতি এবং প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা তথা মুসলিম বিশ্বে অগ্রসর ভূমিকা রাখে বিশ্ববিদ্যালয়টি। বিশ্বের প্রাচীনতম এই বিশ্ববিদ্যালয়টি এখনো শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান রেখে চলেছে।

কারওয়্যাইনে অন্যান্য বিষয়ের সাথে পড়ানো হতো কুরআন ও ফিকহ, ব্যাকরণ, যুক্তিবিদ্যা, চিকিৎসাবিদ্যা, গণিত, রসায়ন, ইতিহাস, ভূগোল এবং সঙ্গীতবিদ্যা। ১৯৬৩ সাল থেকে কারাওইন বিশ্ববিদ্যালয় মরক্কোর আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয় পদ্ধতির সঙ্গে যুক্ত হয়।

বর্তমানে  মরক্কোর ফেস নগরীর এই প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো সমানতালে পাঠদান চালু রয়েছে।

আরও পড়ুন : চোখ ধাঁধানো নীল রঙের শহরটি!


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ