রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল, সম্পাদক মাজহারুল ইসলামি শক্তির মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টিকারী বক্তব্য থেকে বিরত থাকা উচিত গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপির একীভূত হওয়ার আলোচনা, নেতৃত্ব নিয়ে জটিলতা পিআর সিস্টেমের নির্বাচন নিরাপদ নির্বাচন, আদর্শের নির্বাচন: শায়খে চরমোনাই মসজিদ নিয়ে দ্বন্দ্ব, সড়কে জুমা আদায় হেফাজতের চার রাহবার সিরাতে মুস্তাকিমের পথ প্রদর্শক ছিলেন: হেফাজত আমির শ্রীমঙ্গলে খেলাফত মজলিসের সিরাতুন্নবী (সা.) সম্মেলন ‘পেশীশক্তি ও কালো টাকার দৌরাত্ম বন্ধে পিআর পদ্ধতির বিকল্প নেই’ ডাকসু-জাকসুর প্রভাব জাতীয় নির্বাচনেও পড়বে, আশা জামায়াত আমিরের জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক 

কায়রোর প্রথম নারী মিনিবাস চালক ওম আবদুল্লাহ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিনিবাস হচ্ছে কায়রোর অন্যতম জনপ্রিয় একটি গণপরিবহন। কায়রোতে প্রথম মহিলা চালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে ওম আবদুল্লাহ নামে এক নারী।

তিনি বোরকা এবং পুরো মুখ ঢাকা নিকাব পরেই মিনিবাস চালান। তার মিনিবাসটি শুধু মাত্র মহিলা যাত্রীদের জন্য।

বিবিস বাংলার এক প্রতিবেদনে জানা যায়, আবদুল্লাহ ড্রাইভারের কাজ শুরু করেন গত বছর তার স্বামী মারা যাবার পর। কিছু অর্থ আয় করাই ছিলো তার উদ্দেশ্য।

বিবিসিকে তিনি বলেন, আমি দেখলাম আমার চলতে হলে তো কিছু করতে হবে। ছেলেমেয়েদের বড় করতে হবে। তখন আমি গাড়ি চালানোর কথা ভাবলাম। গাড়ি চালানো একটা ভালো কাজ। আমি কাজটা পছন্দও করি। তবে এর আগে তিনি কোনদিন মিনিবাস চালান নি।

ওম আবদুল্লাহকে ড্রাইভারের চাকরিটি দিয়েছেন মিনিবাস কোম্পানির প্রধান নির্বাহী ফাতিমা এবং তার স্বামী সায়েদ - যারা ওই কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা।

ফাতিমা বলছিলেন, ওম আবদুল্লাহ তার কাছে বেশ কয়েকবার এসেছিলেন চাকরি খোঁজে।

আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম যে তিনি কি করতে চান। তিনি বললেন 'আমি গাড়ি চালাতে চাই।

কোম্পানিটি মহিলাদের কাজের জায়গায় বাচ্চাদেরও নিয়ে আসতে দেয়।

আমি গর্ভবতী অবস্থাতেও কাজ করেছি - বলেন ফাতিমা। তার নবজাত শিশুকে ডেস্কের পাশে প্রামে রেখেই তিনি অফিসের কাজ করেন।

ওম আবদুল্লাহকে কাজ দেবার ব্যাপারে কিছু পুরুষ ড্রাইভার আপত্তি তুলেছিলেন। কেউ কেউ বলেছিলেন, এখন মহিলারা কাজ করছে, আমাদের তো তাহলে বাড়িতে বসে থাকতে হবে।

আমি তাদের বললাম, আপনারা যদি কাজ করতে না চান তাহলে মহিলারাই করবে - বলছিলেন ফাতিমা। তবে ধীরে ধীরে অবস্থাটা পাল্টাতে লাগলো।

ওম আবদুল্লাহ বলছিলেন, এখন পুরুষ ড্রাইভাররা আমাকে তাদের সহকর্মী হিসেবেই দেখে এবং তারা খুশি। আমি ওদের বলেছি আমি শিখতে চাই। কোন কাজ শেখাই খুব বেশি কঠিন নয়।

ওম আবদুল্লাহ যে মিনিবাস চালান তা শুধু মহিলা যাত্রীদের। তিনি বলছেন, এটা যৌন হয়রানি রোধে কার্যকর।

ওম আবদুল্লাহ আশা করছেন তার দৃষ্টান্ত দেখে ভবিষ্যতে আরো মেয়ে ড্রাইভারের কাজ করতে অনুপ্রাণিত হবে।

এসএস/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ