বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২ জিলকদ ১৪৪৬


সন্তান কার?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : এক সঙ্গে দুই স্বামীর সংসার করে জঘণ্য পাপের দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো এক তরুণী। আর এখন দিতে হচ্ছে সে পাপের খেসারত। গর্ভের সন্তান নিয়ে শুরু হয়েছে সংঘাত। সামাজিকভাবে তাদের করা হয়েছে একঘরে।

জঘণ্য এ ঘটনা ঘটেছে ঢাকার ধামরাইয়ে সুতিপাড়া ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামে।

২০১০ সালে উপজেলার সুতিপাড়া ইউনিয়নের ওই তরুণীর সঙ্গে একই এলাকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের কাবিন রেজিস্ট্রি করে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে এক কন্যাসন্তানও রয়েছে।

এরপর ২০১৭ সালের ২৮ জুন ঢাকার নোটারি পাবলিক আদালতে অ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের বাসিন্দা মো. সুমন আহম্মেদের সঙ্গে বিয়ে হয় ওই নারীর। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী সাভারের আশুলিয়ার লাল পাহাড় এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন। এর ফাঁকে মাঝেমধ্যে আগের স্বামীর সঙ্গেও মেলামেশা করতে থাকেন ওই নারী।

ঈদুল আজহার সপ্তাহখানেক আগে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হলে আগের স্বামীর ঘরে ফিরে যান। পরদিন পরের স্বামীও সেখানে যান এবং স্ত্রীর গর্ভের সন্তান নিজের বলে দাবি করেন। এ সময় আগের স্বামীও একই দাবি করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।

যেসব হিন্দু ধর্মগুরুরা যৌন অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছে

স্ত্রী ও গর্ভের সন্তান দুই স্বামী দাবি করলে ব্যাপক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসীর প্রতিবাদের মুখে ওই তরুণীর দুই স্বামী স্ত্রীর পিত্রালয় থেকে চলে যেতে বাধ্য হন।

শুক্রবার সকালে শ্রীরামপুর এলাকায় আসেন ওই তরুণীর দুই স্বামী। এ সময় তারা দুজনেই স্ত্রী ও গর্ভের সন্তান নিয়ে নিজ এলাকায় যেতে চাইলে ফের নতুন করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

শনিবার সকালে এ ব্যাপারে মাতব্বর মো. আব্দুল মজিদ ও মো. রফিকুল ইসলাম মিলন মাস্টার জানান, বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর ও ধর্মীয় অনুভূতিতে চরমভাবে আঘাত হানে। তাদের পরিবারকে সামাজিকভাবে একঘরে করে রাখা হয়েছে।


সম্পর্কিত খবর