বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

'কেন আমাকে অন্ধ হতে হল?' প্রশ্ন কাশ্মীরি কিশোরীর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

insha-kashmirআওয়ার ইসলাম: "নিরাপত্তাবাহিনীর যে সদস্যরা আমার দিকে ছররা ছুঁড়েছিল, তাদের কাছে একটাই প্রশ্ন, কী দোষ করেছিলাম আমি?" জানতে চেয়েছে ১৪ বছর বয়সী ইনশা মুশতাক। দুচোখের দৃষ্টি হারিয়েছে ভারত শাসিত কাশ্মীরের বাসিন্দা এই কিশোরী।

ফোটোগ্রাফার আবিদ ভাট যখন ইনশা মুশতাকের ছবি তুলছিলেন, তখন সে জানলার পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল। ওই জানলার ধারে বসে থাকতে গিয়েই ছররা আঘাত করে তার চোখে।  গত তিনমাসে বেশ কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে, কিন্তু চোখের দৃষ্টি ফিরে পায় নি ইনশা।

চিত্রগ্রাহক মি. ভাটকে নিজের পড়ার বইগুলো দেখাচ্ছিল ইনশা মুশতাক - "চোখে দেখতে পাই না, কিন্তু আঙুলের ছোঁয়ায় অনুভব করতে পারি। আমি ডাক্তার হতে চেয়েছিলাম।" কথাগুলো বলার সময়ে তার চোখে জল। কেঁদে ফেললেন ইনশার মা-ও।

তার বাবা মুশতাক আহমেদ বলছিলেন, "ও যদি গুলিতে মারাও যেত, সেই দু:খ হয়তো একটা সময়ে কাটিয়ে উঠতে পারতাম। কিন্তু চোখের সামনে দৃষ্টিশক্তি খোয়ানো মেয়েটাকে দেখে তো আমি রোজ মৃত্যু যন্ত্রণা পাচ্ছি।"

ইনশা মুশতাকের মতো ভারত শাসিত কাশ্মীরের আরও অনেকেই গত তিনমাসের কিছুটা বেশী সময়ে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে অশান্ত হয়ে ওঠা ভারত শাসিত কাশ্মীরে ৮৯ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে, আহত কয়েক হাজার। এঁদের অনেকেই চোখে আঘাত পেয়েছেন নিরাপত্তাবাহিনীর ছোঁড়া ছররা-এ।

মেয়ের কষ্ট দেখে মা আফরোজা প্রতিদিন চোখের পানি ফেলেন।  তবে তার আগেই ইনশার মতো বহু মানুষ দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। কিশোরী ইনশা নিজে কিন্তু বেশ আত্মবিশ্বাসী। কেউ তার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিতে এলেই মুখে হাসি ফোটে তার। কখনও বা চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে পরিবার আর আত্মীয়দের সে নিজেই সান্ত্বনা দেয়। মাঝে মাঝে যখন কোনও আত্মীয়র হাত ধরে হাঁটতে বেরয়, তখনও তার মুখে লেগে থাকে হাসি।

সূত্র: বিবিসি

এফএফ


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ